নাগরিক রিপোর্ট ॥ ঈদ উল আযাহার আগে নৌযান শ্রমিকদের বোনাসসহ যাবতীয় পাওনা পরিশোধের জন্য মালিকদের নির্দেশ দিয়েছেন বরিশালের জেলা প্রশাসন। বেতন-ভাতা নিয়ে ঈদের আগে নৌযান সেক্টরে যাতে নতুন করে অস্থিতরতা সৃষ্টি না হয়, সেজন্য জেলা প্রশাসক এস.এম অজিয়র রহমান সোমবার ঈদোত্তর প্রস্ততি সভায় এ নির্দেশ দেন।
জেলা প্রশাসকের সভাকক্ষে সোমবার সকালে এ অনুষ্ঠিত এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। জেলা প্রশাসক এসএম অজিয়র রহমান সভায় সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ প্রশাসনের সব সেক্টরের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহন করেন। সড়ক ও নৌপথে ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে সভায় ২৫টি দিক নির্দেশনামুলক সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
বিআইডব্লিউটিএ’র বরিশালের বন্দর কর্মকর্তা আজমল হুদা মিঠু সভায় অভিযোগ করেন, ঢাকা-বরিশাল নৌপথে লঞ্চগুলোর মধ্যে আগে যাওয়ার অসুস্থ প্রতিযোগীতা চলছে। বৈরী আবহাওয়া ও প্রচন্ড খর¯্রােতা নদীর মধ্যে এ প্রতিযোগীতায় লিপ্ত হতে গিয়ে সম্প্রতি মেঘনায় দুটি লঞ্চের মধ্যে একাধিকবার সংঘর্ষ হয়েছে। বড় ধরনের দূর্ঘটনা এড়াতে এ অসুস্থ প্রতিযোগীতা বন্ধ করার আহ্বান জানান তিনি। এর জবাবে জেলা প্রশাসক অভিযুক্ত পরাবত লঞ্চের মাষ্টারের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট লঞ্চ কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন। বন্দর কর্মকর্তা মিঠু আরও অভিযোগ করেন, নৌযানগুলোতে অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র স্থাপন করা হলেও সেগুলো বিকল। নারী ও পুরুষ যাত্রীদের জন্য পৃথক টয়লেটের ব্যবস্থা নেই বেশীরভাগ লঞ্চে। এ সমস্যাগুলো আগামী ৫ আগষ্টের মধ্যে সমাধানের জন্য লঞ্চ মালিকদের নির্দেশ দেন সভার সভাপতি।
বিআরটিসি বাসের মান নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করা হয় সভায়। জেলা প্রশাসক এসএম অজিয়র রহমান সভায় উপস্থিত বিআরটিসি প্রতিনিধির উদ্দেশ্যে বলেন, ‘আপনাদের বাসের ছাদ থেকে পানি পড়ার সুনির্দিষ্ট অভিযোগ আছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে এর সমাধান করুন। না হলে ভোক্তা অধিকার আইনের মাধ্যমে আপনাদের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমান আদালত ব্যবস্থা নিবে’।
সভার সভাপতি জেলা প্রশাসক এসএম অজিয়র রহমান জানান, ঈদে সড়ক ও নৌপথে টিকেটের কালোবাজারী রোধ করতে প্রশাসন থেকে সর্বোচ্চ সতর্কতামুলক ব্যবস্থা নেয়া হবে। বিষযটি জেলা প্রশাসকের দপ্তর থেকে সর্বক্ষনিক তদারকি করা হবে।
২০১৯-০৭-২৯