নাগরিক ডেস্ক : সংগীতশিল্পী আলিফ আলাউদ্দীন কয়েক বছর ধরেই গুরুতর অসুস্থ। তার দুটি কিডনিই ৯০ ভাগ কার্যক্ষমতা হারিয়েছে। কিডনির জটিলতাসহ আরও নানা ধরনের সমস্যায় ভুগছেন এই শিল্পী। এ কারণে গত ফেব্রুয়ারির শেষ সপ্তাহে ভারতের চেন্নাইয়ে চিকিৎসার জন্য গিয়েছেন সপরিবারে। সেখানে গিয়ে বড় ধরনের দুর্ঘটনার শিকার হয়েছেন আলিফ আলাউদ্দীন। তার স্বামী গিটারিস্ট ফয়সাল আহমেদ এ তথ্য জানিয়েছেন।
গতকাল শনিবার রাতে তিনি ফেসবুক স্ট্যাটাসে জানান, ১০ মার্চ ডায়ালাইসিসের পর ফেরার পথে হাসপাতালের নিচে পড়ে গিয়ে গুরুতর আঘাত পেয়েছেন আলিফ।
ফয়সাল লেখেন, ‘ডায়ালাইসিস শেষ করে হাসপাতালের নিচেই গেটের সামনে অপেক্ষা করছিলাম ট্যাক্সির জন্য। আলিফ আমার পাশেই ছিল। হঠাৎ বিকট চিৎকারের শব্দ শুনে আমি ঘুরে দেখলাম, আলিফ হাতের ব্যাগ ছুঁড়ে ফেলে দিয়ে পড়ে যাচ্ছে। কিন্তু সেই মুহূর্তে খেয়াল করলাম তার সামনের স্টিলের গ্রিলের সঙ্গে সে মাথায় আঘাত পাবে। আমি আমার হাত দিয়ে মাথায় আঘাত ঠেকাতে পারলাম ঠিকই, কিন্তু আলিফ রেলিংয়ের চিকন গ্রিলের ওপর পড়ে গিয়ে চোখ ও কপালে আঘাত পেয়েছে। এরপর থেকে তার সেন্স নেই। চোখের ওপরের দিকে, মুখ বাকা হয়ে আছে, হাতের কনুইতে ব্যথা পেয়েছে।’
তিনি জানান, দুর্ঘটনার আলিফের তিনদিন কেটেছে আইসিইউতে। সিটিস্ক্যান, এমআরআই, ইইজি, ইকো ও ইসিজি টেস্ট করানো হয়েছে। বর্তমানে চক্ষু বিশেষজ্ঞ দেখছেন। ডাক্তারদের পরিপূর্ণ চেষ্টায় আলিফ এখন সেই অবস্থা থেকে অনেকটা ভালো। তবে এখনও অনেক জটিলতা আছে। আগামী তিন মাস ওষুধ খেয়ে আবার সব টেস্ট করে চিকিৎসককে দেখাতে যেতে হবে।
সংগীতশিল্পী, গীতিকার ও টেলিভিশন উপস্থাপিকা আলিফ আলাউদ্দীন দীর্ঘদিন ধরে পলিসিস্টিক কিডনি রোগে আক্রান্ত। তিনি প্রখ্যাত সুরকার ও সংগীত পরিচালক আলাউদ্দীন আলী ও নজরুল সংগীতশিল্পী সালমা সুলতানার মেয়ে। তিনি এবং তার মা সালমা সুলতানাও একই রোগে আক্রান্ত ছিলেন। এই রোগেই আক্রান্ত হয়ে ২০১৬ সালে চিরবিদায় নেন তিনি। বাংলাদেশের চিকিৎসকরা সুপারিশ করেছেন, আলিফ আলাউদ্দীনের কিডনি প্রতিস্থাপন করার।