দুর্নীতি-দুঃশাসের বিরুদ্ধে হানিফ বাংলাদেশীর স্মারকলিপি

Spread the love

নাগরিক রিপোর্ট : ‘৫০ বছর ধরে চলমান দুর্নীতি-দুঃশাসনের বিরুদ্ধে বদলে যাও, বদলে দাও’ স্লোগানে দেশের ৬৪ জেলা ও ৪৯৫টি উপজেলা প্রদক্ষিণ করে জেলা প্রশাসক এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দিচ্ছেন হানিফ বাংলাদেশী। প্রতিদিন তিন-চারটি উপজেলা প্রদক্ষিণ করে তিনি এ কর্মসূচি পালন করছেন।

এরই ধারাবাহিতায় মঙ্গলবার (২৬ জুলাই) বেলা ১১ টার দিকে বরিশাল সদর উপজেলা ও বেলা ১২ টার দিকে বাকেরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছেন। গত ৫ জুন বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কক্সবাজারের টেকনাফের জিরো পয়েন্ট (শাপলা চত্বর) এলাকা থেকে এ কর্মসূচি শুরু করেন হানিফ বাংলাদেশী। ওই সময় টেকনাফের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. কায়সার খসরুর মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর প্রথম স্মারকলিপিটি দেন তিনি। হানিফ বাংলাদেশী এ পর্যন্ত (২৬ জুলাই দুপুর ১ টা) দেশের ১৩ জেলার ১১৬টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছেন।

প্রতিদিন তিন-চারটি উপজেলা প্রদক্ষিণ করে ২০২৩ সালের মে মাসে পঞ্চগড় জেলার তেঁতুলিয়া উপজেলায় গিয়ে তিনি এ কর্মসূচি সম্পন্ন করা কথা রয়েছে।

কর্মসূচি সম্পর্কে হানিফ বাংলাদেশী  বলেন, সমাজ ও রাষ্ট্র ব্যবস্থার সর্বক্ষেত্রে সামাজিক পারিবারিক মানবিক মূল্যবোধ চরম অবক্ষয় চলছে। স্বাধীনতার ৫০ বছর ধরে যে দল যখনই রাষ্ট্রক্ষমতায় এসেছে, সে দলই কমবেশি গণতন্ত্রকে বাধাগ্রস্ত করেছে। নগ্ন হস্তক্ষেপ হয়েছে। ঘুষ দুর্নীতি অর্থ পাচার হয়ছে। সামাজিক মানবিক পারিবারিক মূল্যবোধর অবক্ষয় পূর্বেও ছিলো, এখন আরো চরম আকার ধারণ করেছে। আমাদের দেশের কৃষক উৎপাদনশীল, শ্রমিকরা পরিশ্রমী, ছাত্র যুবকেরা মেধাবী কিন্তু দুর্বৃাত্তায়িত রাজনীতি আমাদের সকল অর্জনকে ব্যাহত করছে। এত সম্ভববনা থাকার পরেও দেশ যতটুকু এগিয়ে যাওয়ার কথা ততটুকু এগিয়ে যাচ্ছে না। দেশে অবকাঠামোগত অনেক উন্নয়ন হচ্ছে কিন্তু মানবিক মূল্যবোধের পতন হচ্ছে। আশাকরি সম্ভববনাময় এই অগ্রযাত্রা এগিয় নিতে এবং চলমান উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে ঘুষ, দুর্নীতি ও অর্থপাচার বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা ও পাচারকৃত অর্থ ফেরত এনে যুবকদের মাঝে আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে সহজ শর্তে ঋণ ও কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা, ভোট গণতন্ত্র আইনের শাসনের মান উন্নয়নে আরো যথাযত ব্যবস্থা গ্রহণ করলে বাংলাদেশ বিশ্বে একটি আত্মমর্যানশীল দেশ হিসাবে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে।

হানিফ বাংলাদেশী আরও বলেন, আমি দেশের নানা অসঙ্গতি নিয়ে সব সময় প্রতিবাদ করে থাকি। এর আগেও ঢাকা শহরসহ দেশের জনবহুল স্থানে পাবলিক টয়লেট স্থাপনের আন্দোলন করেছি। ২০১৩ থেকে ২০১৪ সালে দেশে যখন জ্বালাও—পোড়াও শুরু হয় তখন দুই নেতৃত্ব বরাবর স্বারকলিপি দিয়েছি। ২০১৯ সালের মার্চ মাসে ভোটাধিকার এর দাবিতে টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া পায়ে হেটে পদযাত্রা করেছি, ২০২০ সালে সর্বগ্রাসী দুর্নীতির বিরুদ্ধে ৬৪ জেলা প্রদক্ষিণ করে জেলা প্রশাসক অফিসে স্বারকলিপি দিয়েছি। ২০২০ সীমান্ত হত্যা বন্ধের দাবিতে প্রতীকী লাশ নিয়ে পদযাত্রা করেছি। ২০২১ সালে দেশব্যাপী মার্চ ফর ডেমোক্রেসি গণতন্ত্রের জন্য গণস্বাক্ষর সংগ্রহ করছি। ২০২১ সালে নির্বাচন কমিশন গঠনে আইন প্রনয়নের দাবিতে মাথায় ভোটের বাক্স নিয়ে ৬৪ জেলা প্রশাসকদের মাধ্যমে মহামান্য রাষ্ট্রপতি বরাবর স্বারকলিপি দিয়েছি। এখন ৫০ বছর ধরে চলমান দুর্নীতি-দুঃশাসের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহনের দাবিতে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্বারকলিপি দেওয়ার উদ্যোগ নিয়ে কর্মসূচি শুরু করেছি। আমার এই কর্মসূচিতে দেশবাসী, আইনশৃঙ্খলা বাহিনাী ও সাংবাদিক ভাইদের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করছি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *