আমতলী উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগ সভাপতিকে কুপিয়েছে ছাত্রলীগ

Spread the love

আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি : আমতলী উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগ সভাপতি মো. মোয়াজ্জেম হোসেন খানকে (৫৫) কুপিয়ে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে কয়েকজন ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮ টার সময় আমতলী পৌরসভার বঙ্গবন্ধু সড়কের আলহেলাল মোড়ের সাকিব প্লাজার সামনে এ ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত মোয়াজ্জেমকে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

প্রত্যাক্ষদর্শী ও স্থানীয় কয়েকজন জানান, রাত সাড়ে ৮ টার সময় আমতলী উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগ সভাপতি মো. মোয়াজ্জেম হোসেন খান (৫৫) ব্যাক্তিগত কাজের জন্য বঙ্গবন্ধু সড়কের আলহেলার মোড়ের সাকিব প্লাজার সামনে আসেন। ওই স্থানে যাওয়া মাত্র উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সবুজ ম্যালাকার ও সাংগঠনিক সম্পাদক মো. ইফতেখার আহম্মেদ তোহার নেতৃত্বে ১২-১৫ জন সন্ত্রাসী ধারালো রামদা এবং দা দিয়ে মোয়াজ্জেমকে কোপাতে থাকে।  এক পর্যায়ে মোয়াজ্জেম মাটিতে লুটিয়ে পরে ডাক চিৎকার শুরু করলে স্থানীয়রা এগিয়ে আসে। এসময় সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। ধারালো রামদা এবং দায়ের কোপে মোয়জ্জেমের বাম হাত এবং মাথা রক্তাত্ব জখম হয়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে আমতলী হাসপাতালে নিয়ে যায়। হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তার শারিরিক অবস্থা সংকটাপন্ন হলে মোয়াজ্জেম হোসেনকে দ্রুত বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্রত্যাক্ষদর্শী বলেন, ডাক চিৎকার শুনে তাকিয়ে দেখি রামদা দিয়ে মোয়াজ্জেম খানকে কোপানো হচ্ছে। এক পর্যায়ে সে মাটিতে লুটিয়ে পরে ডাক চিৎকার শুরু করলে লোকজন এগিয়ে আসে। লোকজন এগিয়ে আসতে দেখে হামলা কারীরা পালিয়ে যায়।

আহত স্বেচ্ছাসেবকলীগ সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন খান অভিযোগ করে বলেন, রাজনৈতিক প্রতিহিংসা পরায়ন হয়ে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী সবুজ ম্যালাকার ও ইফতেখার আহম্মেদ তোহার নেতৃত্বে ১২-১৫ জন সন্ত্রাসী আমাকে হত্যার জন্য কুপিয়ে জখম করে।

হাসপাতালের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক ডা. সুমন বিশ্বাস বলেন, মোয়াজ্জেম হোসেনের বাম হাতে এবং মাথায় ধারালো অস্ত্রের আঘাত এবং শরীরের বিভিন্ন জায়গায় মারধরের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।

মোয়াজ্জেম হোসেন খানকে কুপিয়ে জখমের প্রতিবাদে তাৎক্ষনিক আওয়ামীলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ, শ্রমিকলীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগ আমতলী চৌরাস্তা আঞ্চলিক মহাসড়ক অবরোধ করে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ ও সমাবেশ করে। এসময় সড়কের দুই ধারে ঢাকা, বরিশালসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে চলাচলকারী শতাধিক বাস ট্রাক আটকা পরে। আধাঘন্টা পরে আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে অপরাধীর বিচারের অশ্বাস এবং অনুরোধের পর সড়ক অবরোধ প্রত্যাহর করে আন্দোলন কারীরা।

আমতলী উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. মাহবুবুল ইসলাম বলেন, হামলার সাথে করা জড়িত সে বিষয়ে আমি কিছু জানি না।

আমতলী উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক আবদুল্লাহ আল মামুন সবুজ বলেন, মোয়াজ্জেম হোসেন খানের উপর হামলার বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের মাধ্যমে জানতে পেরেছি। হামলার সঙ্গে কারা জড়িত সে বিষয়ে আমি কিছু জানি না।

আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা একেএম মিজানুর রহমান বলেন, স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন খান এর উপর হামলার খবর পেয়ে হাসপাতালে পুলিশ পাঠানো হয়। হামলার সাথে যেই জড়িত থাকুক না কেন তদন্ত সাপেক্ষে কঠিন শাস্তির আওতায় আনা হবে। এছাড়া হামলাকারীদের ধরতে মঙ্গলবার রাত ভর বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়েছি।#

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *