নাগরিক রিপোর্ট ॥ ঈদ উল আযহার ছুটি কাটিয়ে কর্মস্থলে ফেরা শুরু করেছেন দক্ষিনাঞ্চলের মানুষ। শুক্রবার বিকেল থেকে তাই বরিশাল নৌবন্দরে রাজধানীমুখী যাত্রীদের ঢল নামে। কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকলেও বন্দরে নানা দুর্ভোগে পড়ছেন যাত্রীরা। বিশেষ করে টিকেট ব্লাকারদের তৎপরতা দেখা গেছে বেশ। যাত্রীরা অভিযোগ করেছেন, দালালরা কেবিনের টিকেটের দাম দ্বিগুন চায়। ডেকেও স্থান পাওয়া দুস্কর।
সরেজমিনে শুক্রবার বিকেলে বরিশাল নৌবন্দর ঘুরে দেখা গেছে, বন্দরের সামনের সড়কে কয়েক স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গড়ে তুলেছে প্রশাসন। পুলিশ, গোয়েন্দা পুলিশ, আনসার, ভলান্টিয়ার ব্যস্ত যাত্রীদের নিরাপত্তা দিতে। অবশ্য বন্দরের ভেতর প্রবেশকালেই বৃস্টির পানিতে একাকার হতে হচ্ছে যাত্রীদের। পন্টুনে গিয়ে দেখা গেল ব্যাপক যাত্রী। এর মাঝে বন্দরে যাত্রীবেশে বেশ কয়েকজন টিকেট ব্লাকারদের তৎপর দেখা গেছে।
শুক্রবার বিকেল নাগাদ নৌবন্দরে ১৪টি বৃহৎ লঞ্চ দেখা গেছে। অধিকাংশ লঞ্চে যাত্রী চাপ ছিল। লঞ্চগুলোর ডেকেও যাত্রী ছিল বেশ। আর কেবিনের সম্মুখ দখলের প্রস্তুতি নিতে দেখা গেছে অনেককে। কথা হয় সুজন আহমেদ নামে উজিরপুর থেকে আসা এক যাত্রীর সাথে। তিনি বলেন, টিকেট পাচ্ছেন না। অবশ্য ভীরের মাঝে কয়েকজন বাড়তি দামে কেবিনের টিকেট কেনার প্রস্তাব দিয়েছেন। একই ধরনের অভিযোগ করেন করাপুর থেকে আসা আনোয়ার হোসেন নামেস এক যাত্রী। তিনি বলেন, বাহিরে ফিটফাট থাকলেও ভেতরে টিকেট নিয়ে তৎপর দালালরা।
এব্যপারে জানতে বরিশাল নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের উপ পরিচালক(অতিরিক্ত দায়িত্ব) আজমল হুদা মিঠুকে ফোন দেয়া হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
২০১৯-০৮-১৬