নাগরিক রিপোর্ট ॥ শনিবার যাত্রীদের ঢল ছিল বরিশাল নৌবন্দরে। কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল এলাকায়ও একই অবস্থা ছিল। ঈদ উদযাপন শেষে কর্মস্থলমুখী মানুষ যাত্রা শুরু করায় গত বৃহস্পতিবার থেকে নৌবন্দর ও বাস টার্মিনালে এ অবস্থা চলছে। কর্মস্থলমুখী যাত্রীতে টুইটুম্বুর হয়ে বৃহৎ লঞ্চগুলো একের পর এক ঢাকার উদ্দেশ্যে বরিশাল নৌবন্দর থেকে ছেড়েছে। বাস ছেড়েছে বিরামহীনভাবে। বাস-লঞ্চে ঠাঁই ছিল না কোথাও।
জানা গেছে, শনিবার ২১টি লঞ্চ যাত্রীনিয়ে ঢাকায় গেছে। প্রতিটি লঞ্চে তীল ধারনের ঠাই ছিলনা। প্রথম শ্রেণীর কেবিন যাত্রীদের চলার পথও দখল করে নিয়েছেন তৃতীয় শ্রেণীর ডেক যাত্রীরা।
বিআইডব্লিউটিএ’র পরিদর্শক কবির হোসেন জানান, শুক্র ও শনিবার যাত্রী পূর্ন হলেই লঞ্চগুলো পন্টুন ত্যাগ করতে বাধ্য করা হয়েছে। অতিরিক্ত যাত্রীবোঝাই ঠেকাতে এ পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে বলে এ কর্মকর্তার দাবী। তবে লঞ্চের একাধিক যাত্রী জানিয়েছেন, যতক্ষন লঞ্চে একজন যাত্রীর পা ফেলার জায়গা ছিল, ততক্ষন লঞ্চ কর্তৃপক্ষকে যাত্রী তোলার সুযোগ দেয়া হয়েছে। বৈরী আবহাওয়ার ঝুকি নিয়ে খর¯্রােতা নদী পাড়ি দিয়েছে অতিরিক্ত যাত্রীবাহি লঞ্চগুলো।
কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে কাঁদাপানির মধ্যে একাকার হয়ে লাইনে দাড়িয়ে টিকেট সংগ্রহ করতে হয়েছে যাত্রীদের। টিকেটের জন্য বিশাল লম্বা লাইন পড়েছে কাউন্টারের সামনে।