নাগরিক রিপোর্ট:
তিনি বিএনপির কেন্দ্রীয় যুগ্ন মহাসচিব মজিবর রহমান সরোয়ার। টানা ৩ মাস কারাবরন শেষে শনিবার বরিশালে ফিরেছেন। দুপুরে তার অনুসারী বিএনপির নেতাকর্মীরা ফুলেল শুভেচ্ছায় তাকে বরণ করে নেন। কিন্তু দলের জেলা ও মহানগর বিএনপির পদধারী শীর্ষ নেতারা ডাক পেয়েও সরোয়ারের আগমনে জাননি। যদিও দক্ষিনাঞ্চলের প্রভাবশালী নেতা হিসেবে সরোয়ার পরিচিত। ৩ বছর আগে নগর বিএনপির সভাপতি পদ থেকে বাদ পড়ায় দলের একটি অংশ সরোয়ারকে অবমুল্যায়ন করে আসছেন। কোনঠাসা হয়ে আছে তার অনুসারী নেতারা। এ নিয়ে বিএনপির তৃনমুল পর্যায়ে অসন্তোষ বিরাজ করছে।
জানা গেছে, শনিবার বেলা পৌনে ১টায় নগরের পশ্চিম কাউনিয়াস্থ বাসভবনে পৌছান। এসময় হাজারো নেতাকর্মী তার বাসার সামনে জড়ো হন। ফুল দিয়ে বরন করে নেন নেতাকে। জেলা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক সোহেল রাঢ়ী বলেন, নেতাকর্মীরা এবারের আন্দোলনে সরোয়ারের শুন্যতা সেখানে প্রকাশ করেছেন। নগর ছাত্রদলের সহ সভাপতি তরিকুল ইসলাম বলেন, সরোয়ার ভাই কারাগারে থাকায় আন্দোলনে ব্যার্থ হয়েছেন জেলা ও মহানগর বিএনপি। আজকে তিনি ফেরায় হাজারো নেতাকর্মী সরোয়ারের নেতৃত্বে বরিশাল বিএনপিকে সুসংগঠিত করার দাবী জানিয়েছেন।
দীর্ঘ কারাবরন শেষে এলাকায় ফেরায় তৃনমুল নেতারা শনিবার সরোয়ারের কাছে ছুটে আসলেও জেলা ও মহানগরের পদধারী কোন নেতাকে দেখা যায়নি। এ নিয়ে সেখানে নেতাকর্মীদের মধ্যে অসন্তোষ প্রকাশি পায়। সদর উপজেলার চরবাড়িয়া থেকে আসা এক বিএনপি নেতা বলেন, আজকে দক্ষিন জেলা বিএনপিতে যারা নেতা তাদের অনেকের সৃস্টি সরোয়ারের হাত ধরে। সরোয়ারের শুন্যতায় আন্দোলনে ব্যার্থ হয়েছে জেলা ও মহানগর বিএনপির নেতারা।
শনিবার সরোয়ারের বাসায় গিয়ে দেখা করেছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় সদস্য মেজবাউদ্দিন ফরহাদ। তিনি বলেন, সরোয়ার ভাই র্দীঘদিন কারাবন ছিলেন, অসুস্থও হয়ে পড়েন। দেখা করে তার (সরোয়ার) খোজ খবর নিয়েছেন। তবে জেলা ও মহানগরের কাউকে তেমন একটা দেখেননি। কেন যায়নি সেটা তাদের ব্যাপার।
দক্ষিন জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আবুল কালাম শাহিন বলেন, তিনি সরোয়ার ভাইয়ের ওখানে যাননি। জানেন না কারা গেছেন। প্রোগ্রাম থাকায় ব্যাস্ত ছিলেন তিনি।
মহানগর বিএনপির আহবায়ক মনিরুজ্জামান ফারুক বলেন, সরোয়ার ভাইয়ের সঙ্গে কথা হয়েছিল। তিনি ঢাকায় একটি মামলায় হাজিরা দিতে আসায় থাকতে পারেননি। ফারুক বলেন, সরোয়ার দলের সিনিয়র নেতা। তাকে সম্মান জানাই।
নগর বিএনপির সাবেক সহ সম্পাদক আনোয়ারুল হক তারিন বলেন, জেলা ও মহানগরের নেতাদের আসা উচিৎ ছিল। তিনি দলের কেন্দ্রীয় নেতা। দলের জন্য জেল খেটেছেন। তার পাশে গিয়ে সম্মান জানানোও আমাদের দায়িত্ব।
এব্যপারে বিএনপির যুগ্ন মহাসচিব মজিবর রহমান সরোয়ার বলেন, তিনি সংবর্ধনা আয়োজনে বারন করেছেন। তারপরও নেতাকর্মীরা ছুটে এসেছেন। তিনি আসার আগে জেলা বিএনপির সভাপতি ও সম্পাদককে বলেছেন। মহানগরের সভাপতিকেও বলেছেন। সবাইকে জানিয়েছেন যে তিনি এলাকায় আসেছেন। তারপরও কেন জেলা ও মহানগরের নেতারা আসেননি তা তারাই বলতে পারবেন।
সরোয়ার বলেন, এখন আমাদের আরও গভীরে গিয়ে রাজনীতি করতে হবে। কারাগার থেকে বের হয়েই ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের সঙ্গে স্কাইপিতে পরামর্শ দিয়েছেন যে মেয়াদ উত্তীর্ন কমিটিগুলো সম্মেলনের মাধ্যমে সম্পন্ন করে দলের সাংগঠনিক অবস্থা দৃর করতে হবে।
1vre8w
d4hi6y
Your blog is an excellent resource for anyone curious in learning about a variety of topics. Thanks for all that you do.
Your blog posts resemble little doses of sunshine that brighten up my day. Thank you for that!