নাগরিক রিপোর্ট:
এমপিও হওয়া কলেজের শিক্ষকদের এমপিও আবেদন আটকে দেয়া, হয়রানী এবং উৎকোচ চাওয়ার অভিযোগে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) বরিশাল আঞ্চলিক পরিচালক প্রফেসর ড. মো. মোয়াজ্জেম হোসেনের অপসারনের দাবী উঠেছে। এ দাবীতে বুধবার বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষক-কর্মচারীরা। বেলা ১১টায় নগরীর অশি^নী কুমার টাউন হলে বৈষম্য বিরোধী শিক্ষক ও কর্মচারী সমাজ, বরিশাল অঞ্চলের উদ্যোগে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। পরে পরিচালক মোয়াজ্জেমের কার্যালয় ঘেরাও করেন শিক্ষকরা। অভিযোগ উঠেছে, বিভাগের শতাধিক শিক্ষক- কর্মচারীর এমপিও মাউশি পরিচালকের খামখেয়ালীতে দেড় বছর ধরে আটকে আছে।
নগরে গতকালের সমাবেশে বক্তারা বলেন, বিগত ৬ বছর ধরে মাউশি পরিচালক প্রফেসর মো. মোয়াজ্জেম হোসেন একই পদে থেকে নানা ছুঁতোয় শিক্ষকদের ফাইল আটকে রেখে হয়রানি করছেন। সম্প্রতি গণ অভ্যুত্থানের আগে- গড়ে ওঠা বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন নিবৃত্ত করার লক্ষ্যে আন্দোলণকারী শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের তথ্য চেয়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চিঠি পাঠান তিনি। ওই তথ্যের ভিত্তিতে অনেক ছাত্র-শিক্ষককে হয়রানি ও গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
পটুয়াখালীর মীর্জাগঞ্জের হাওলাদার ফাউন্ডেশন ওমেন্স কলেজ এর প্রভাষক মিজানুর রহমান বলেন, আমাদের কলেজ এমপিও হয়েছে ২০২২ সালের ৬ জুন। আমরা এমপিও এর জন্য ৭জন শিক্ষক এবং ৪জন কর্শচারী আবেদন করেছি। বরিশাল বিভাগে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের এমন ৬৮জন শিক্ষক সহ মোট ১০০জন শিক্ষক-কর্মচারী এমপিও এর জন্য ৩ বার অনলাইনে আবেদন করেছেন। কিন্তু মাউশি পরিচালক প্রফেসর ড. মোয়াজ্জেম তাদের নানাভাবে হয়রানী করছেন। তিনি এমপিও বাবদ ২ লাখ করে টাকা চেয়েছেন। পূন: তদন্তের কথা বলেও প্রায় দেড় বছর হয়রানী করছেন। অথচ দেশের সব বিভাগে উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের এমপিওভুক্ত কলেজগুলোর শিক্ষক-কর্মচারীদের এমপিও আগেই অনুমোদন হয়েছে। এর প্রেক্ষিতে তারা গতকাল মতাধিক শিক্ষক কর্মচারী নগরে বিক্ষোভ এবং মাউশি কার্যালয় ঘেরাও করেছেন।
প্রভাষক মিজানুর বলেন, তাদের এক দফা দাবী হচ্ছে প্রফেসর মোয়াজ্জেমের অপসারন। কারন তিনি ৬ বছর ধরে এখানে দুর্নীতি, অনিয়ম এবং হয়রানী করছেন শিক্ষকদের। এ নিয়ে মঙ্গলবার দুপুরে তার কার্যালয়ে তাকে শিক্ষকরা তোপেড় মুখে ফেলে। পরে পুলিশ প্রশাসন ও সেনাবাহিনীর একটি টিম এর সামনে অনলাইনে আবেদনকৃতদের এমপিও অনুমোদনের আশ্বাস দিয়েছেন প্রফেসর মোয়াজ্জেম।
এর আগে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন প্রভাষক মিজানুর রহমান মাসুম বিল্লাহ, মো. শাহিন, কামরুল হাসান, সাদিয়া আকতার, মিনার মাহমুদ, হাসান বকসি প্রমুখ।
এব্যাপারে মাউশি বরিশাল অঞ্চলের পরিচালক প্রফেসর ড. মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, ওই শিক্ষকদের এমপিও অনুমোদনে আইনগত জটিলতা আছে। আমি এমপিও দিয়েছিলাম। কিন্তু মহাপরিচালকের কার্যালয় বাতিল করে দিয়েছে। তিনি বলেন, ওই সব শিক্ষকরা এসে তার কার্যালয় ভাংচুর করেছে। তিনি দাবী করেন নিয়োগ সঠিকভাবে না হলে এমপিও ২০ বছরও আটকে থাকতে পারে।