নাগরিক রিপোর্ট ॥ বরিশাল নগরীর গুরুত্বপূর্ন সড়কে তিন চাকার ব্যাটারীচালিত হলুদ অটোরিক্সা মঙ্গলবার থেকে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এর আগে ব্যাটরিচালিত রিক্সাও বন্ধ করে দেয়ায় বিরুপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। আন্দোলনমুখী হয়েছেন এ পেশার সঙ্গে জড়িত দশ সহ¯্রাধিক শ্রমিক। শ্রমিকরা এজন্য সিটি করপোরেশন ও পুলিশ প্রশানকে দায়ী করেছেন। প্রশাসনের এ সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবীতে মঙ্গলবার বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে শিগগিরিই কঠোর আন্দোলন কর্মসুচীর মাধ্যমে বরিশাল অচল করার হুশিয়ারী দিয়েছে চরমোনাই পীরের দল ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ।
মঙ্গলবার থেকে নগরীর প্রধান সড়ক সদর রোড, ফজলুল হক এভিনিউ, লঞ্চঘাট ও চকবাজার এলাকায় ইজিবাইক চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়। বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ কমিশনার (ট্রাফিক) মো. খায়রুল আলম জানান, পর্যায়ক্রমে পুরো নগরী থেকে এ যানটি উচ্ছেদ করা হবে।
প্রশাসনের এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে মঙ্গলবার বিকেলে সাংবাদিক সম্মেলন করেন চরমোনাই পীরের দল ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম। কয়েক হাজার অটোরিক্সা শ্রমিকের উপস্থিতিতে তিনি বলেন, হাইকোর্টের রায়ের ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে অটোরিক্সা বন্ধ করা হচ্ছে। রায়ে উল্লেখ আছে, যান্ত্রিক যানবাহন বন্ধ করার। তার মধ্যে পড়ে মহাসড়কে চলাচলকারি স্থানীয়ভাবে তৈরী নছিমন-করিমন-ভটভটি ইত্যাদি।
মুফতি ফয়জুল করীম বলেন, একটি প্রভাবশালী চক্র নতুন আরেকটি যানবহন সড়কে নামিয়ে বিপুল পরিমান টাকা হাতিয়ে নেয়ার উদ্দেশ্যে ইজিবাইক উচ্ছেদের ষড়যন্ত্র করছে। তারা শ্রমিকদের পেটে লাথি দিতে চায়। এরা বেকার হলে নগরীতে চুরি, ডাকাতি বেড়ে যাবে। তাছাড়া এই যান বন্ধ করায় জনদুর্ভোগ বেড়েছে। প্রশাসন এ সিদ্ধান্ত থেকে সরে না আসলে বরিশাল অচল করে দেয়ার কর্মসূচী দেয়া হবে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানান মুফতি ফয়জুল করীম।
এ প্রসঙ্গে বিসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইসরাইল হোসেন বলেন, বর্তমান মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ এ যানবহনটি নবায়ন না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ফলে স্বাভাবিকভাবেই এ যানটি এখন নগরীতে অবৈধ যানবহন। অবৈধ যানবহন বন্ধ করার দায়িত্ব মেট্রোপলিটন পুলিশের।
২০১৯-১০-০১