নাগরিক ডেস্ক : ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) নির্বাচনে ৩০ নং ওয়ার্ডে কাউন্সিলর প্রার্থী ইয়াসিন মোল্লাকে ভোটে জয়ের ‘নিশ্চয়তা’ দিয়ে পাঁচ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে প্রতারক চক্র। লাটিম প্রতীকের প্রার্থী ইয়াসিন মোল্লা আদাবর থানা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী কাউন্সিলর প্রার্থীর ছেলে কাওসার মোল্লা বাদী হয়ে গত ২৪ জানুয়ারি অজ্ঞাতনামাদের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে আদাবর থানায় একটি মামলা করেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়, গত ২২ জানুয়ারি সকালে আদাবর থানার ওসির (ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) পরিচয়ে ০১৭১৩৩৭৩১৮৩ নম্বর থেকে ফোন করে বলা হয়, ‘আমি ওসি (আদাবর থানা), আমি আপনার জন্য নির্বাচনে কিছু করতে পারলাম না। কিন্তু আপনার জন্য একটি পথ তৈরি করে দেই। আপনি সিটি কর্পোরেশন নিবাচনে আদাবর থানা ৩০নং ওয়ার্ড এলাকায় দায়িত্বপ্রাপ্ত ম্যাজিস্ট্রেটের সাথে কথা বলেন।’ তারপর ওসি পরিচয়দাতা ০১৯০৬৬৬৩০৯৬ নম্বরটি দিয়ে বলে, এটি ম্যাজিস্ট্রেটের নম্বর।
খানিকবাদে ম্যাজিস্ট্রেট পরিচয়ধারীর নম্বর থেকে ফোন করে ইয়াসিন মোল্লাকে বলা হয়, ‘আপনি কি সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে জয়ী হতে চান? যদি হতে চান, তাহলে আপনাকে ১৫ লাখ টাকা দিতে হবে। নির্বাচনের আগে পাঁচ লাখ টাকা এবং পাস করার পরে ১০ লাখ টাকা দিতে হবে।’ এতে ইয়াসিন মোল্লা রাজি হয়ে ১২ দফায় পাঁচ লাখ টাকা বিকাশের মাধ্যমে পাঠান সেই ম্যাজিস্ট্রেট পরিচয়ধারীর দেয়া নম্বরে।
এরপর সেদিন সন্ধ্যায় ম্যাজিস্ট্রেট পরিচয়ধারী প্রতারক আবারও ফোন করে তিন লাখ ৩০ হাজার টাকা চাইলে ইয়াসিন মোল্লার সন্দেহ হয়। তখন তিনি বিষয়টি ফোন করে ওসিকে জানান।
এ ব্যাপারে আদাবর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী শহীদুজ্জামান বলেন, ওই কথোপকথনে আমি ছিলাম না। পরে জানতে পারি ইয়াসিন মোল্লা প্রতারণার শিকার হয়েছেন। তাকে দ্রুত থানায় আসতে বলা হয়েছে।
ওসি আরও বলেন, আমার ফোন নম্বর ক্লোন করে এ ঘটনা ঘটানো হয়ে থাকতে পারে। এ ঘটনায় মামলা নেয়া হয়েছে। কথোপকথনের নম্বর ও বিকাশ নম্বরের বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহের মাধ্যমে প্রতারকদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।