নাগরিক ডেস্ক: গান কিংবা রম্য সংলাপের সাথে নিজের ব্যাঙ্গাত্মক মুখোভঙ্গি আর ঠোঁট মিলিয়ে মাত্র ১৫ সেকেন্ডের ভিডিও প্লাটর্ফম টিকটক। সারা বিশ্বের অনেক তারকাদেরই আইডি রয়েছে টিকটকে।
অর্থহীন এ প্রতিযোগিতায় নিজেকে এগিয়ে রাখতে অনেকে নিচ্ছেন জীবনের ঝুঁকিও। অন্যের মনোযোগ আকর্ষণ করে নিজেকে আলোচনা আনার এমন প্রবণতাকে ভয়াবহ মানসিক অসুস্থতা বলছেন মনোবিদরা।
টিকটক এক দিকে যেমন অশ্লীল রুচিশীল কর্মকান্ডে বিস্তার ঘটাচ্ছে অন্য দিকে তৈরী করছে মানসিক বৈকল্য।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক সঞ্চারী প্রতিভা বলেন, বিষন্নতা অথবা এনজাইটির রিলেটেড যে ডিসঅর্ডারের গুলো আছে মানসিক রোগের ডিকশনারিতে, সে ধরনের রোগগুলো এ হীনমন্যতা থেকে তৈরি হতে পারে।
তিনি আরো বলেন, আমরা আসলে খুব ছোট বয়সেই বাচ্চাদের মোবাইল দিচ্ছি। আগেও কিন্তু ছেলে মেয়েরা বড় হয়েছে মোবাইল ছাড়া। এখন বাসায় বাচ্চা কাঁদছে, তাকে আমরা একটা মোবাইল হাতে ধরিয়ে দেই। এ প্রবনতা থেকে আমাদের বের হয়ে আসতে হবে।
২০১৬ সালে চীনে টিকটকের জন্ম হলেও সেখানে এটির ব্যবহার নেই বললেই চলে। অথচ ভারতে এই অ্যাপসটি ডাউনলোড হয়েছে ২৫ কোটিবার।