আমানতে বিলম্ব ফি নেওয়া যাবে না

Spread the love

নাগরিক ডেস্ক : কোনো আমানতকারী এপ্রিল ও মে মাসে ডিপিএস বা অন্য কোনো সঞ্চয়ি হিসাবের টাকা নির্ধারিত সময়ে জমা দিতে না পারলেও তার থেকে বিলম্ব ফি নেওয়া যাবে না। কিস্তি পরিশোধ না করার কারণে তা বন্ধ বা বাতিলও করা যাবে না। এপ্রিল ও মে মাসের নির্ধারিত কিস্তি পরিশোধের জন্য আগামী ২০ জুন পর্যন্ত সময় দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এসময়ের মধ্যে কারও থেকে অতিরিক্ত অর্থ নিলে তা ফেরত দিতে বলা হয়েছে।

সোমবার এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করে ব্যাংকগুলোতে পাঠানো হয়। সার্কুলারে আরও বলা হয়েছে, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে সরকার গত ২৬ মার্চ থেকে ৩০ মে পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে। এ সময়ে গণপরিবহন চলাচল বন্ধ এবং জরুরী প্রয়োজন ছাড়া জনসাধারণের বাইরে যাওয়ার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা থাকায় অনেক আমানতকারীর পক্ষে তাদের ডিপোজিট পেনশন স্কিম (ডিপিএস) ও বিভিন্ন সঞ্চয়ি কিস্তি নির্ধারিত সময়ে ব্যাংকে জমা দেওয়া সম্ভব হয়নি।

নির্দেশনায় বলা হয়েছে, এপ্রিল ও মে মাসের কিস্তি দেরিতে জমা দেওয়ার ক্ষেত্রে কোনো ধরনের বিলম্ব ফি, চার্জ বা অতিরিক্ত অর্থ আদায় করা যাবে না। এ সময়ে কোনো সঞ্চয়ি হিসাবের কিস্তি পরিশোধে অসমর্থতকার কারণে তা বন্ধ বা বাতিল করা যাবে না। তবে আমানতকারীদের আগামী ২০ জুনের মধ্যে এপ্রিল ও মে মাসের নির্ধারিত কিস্তি জমা দিতে হবে। ওই দুই মাসের কিস্তির টাকা দেরিতে দেওয়ার কারণে কোনো আমানতকারী থেকে ইতিমধ্যে কোনো ধরনের বিলম্ব ফি, চার্জ বা অতিরিক্ত অর্থ নিলে তা ফেরত অথবা সমন্বয় করতে বলা হয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন উর্ধ্বতন কর্মকর্তা একটি শীর্ষ গণমাধ্যমকে বলেন, করোনাকালীন ঋণ গ্রহীতাদের নানা সুবিধা দেওয়া হলেও আমানতকারীদের বিষয়ে কিছু বলা হয়নি। এর প্রধান কারণ ছিল এধরনের নির্দেশনা আগে থেকে দিলে সুযোগ ও সামর্থ থাকা ব্যক্তিও টাকা জমা দিতেন না। তাতে করে ব্যাংকগুলো তহবিল সঙ্কটে পড়তো। যে কারণে সাধারণ ছুটি শেষ হওয়ার পর এখন এ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *