যুক্তরাষ্ট্রে পুলিশী নির্যাতনে কৃষ্ণাঙ্গ যুবককে যেভাবে হত্যা করা হয়

Spread the love

নাগরিক রিপোর্ট: যুক্তরাষ্ট্রে শেতাঙ্গ পুলিশের নির্যাতনে কৃষ্ণাঙ্গ যুবক জর্জ ফ্লয়েডের হত্যাকান্ডের ঘটনায় তোলপাড় চলছে। বিশ্বব্যাপী নৃশংস এই হত্যাকান্ডের ঘটনায় নিন্দার ঝড় বইছে। বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠেছে যুক্তরাষ্ট্র। এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে বিক্ষোভ চলছে। এই প্রতিবাদে অংশ নিয়ে বর্ণবাদের বিরুদ্ধে ¯েøাগান দিচ্ছেন মার্কিনিরা।
মিনেসোটা রাজ্যের মিনিয়াপোলিস শহরে পুলিশের নির্যাতনে কৃষ্ণাঙ্গ জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যু নিয়ে তদন্ত হচ্ছে। ফ্লয়েডের মৃত্যুর এক সপ্তাহের মাথায় আসা ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যেভাবে তার মৃত্যু হয়েছে, সেটা ‘হত্যাকান্ড’।
তাকে ঘাড়ে হাঁটু দিয়ে ৮ মিনিট ৪৬ সেকেন্ড ধরে চেপে রাখা হয়। এভাবে মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়। পথচারীদের মোবাইলে ধারণ করা ভিডিও, সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ এবং দাফতরিক নথি পর্যালোচনা করার পাশাপাশি বিশেষজ্ঞদের মতামত নিয়ে ওই সময়ের ঘটনাগুলো জোড়া দিয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ চিত্র দাঁড় করানোর চেষ্টা করেছে নিউ ইয়র্ক টাইমস।
এতে দেখানো হয়েছে,ঘাড়ে চাপা দেয়ায় শ্বাস বন্ধ হয়ে যাওয়ায় অনেক কাকুতি-মিনতি করেছিলেন ফ্লয়েড। প্রত্যক্ষদর্শীরা তাকে সাহায্য করার অনুরোধ জানালেও পুলিশ তাতে সাড়া দেয়নি। ফ্লয়েডের মৃত্যুর পরদিন মঙ্গলবার ওই ঘটনায় জড়িত চার পুলিশ কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করে পুলিশ বিভাগ।
এরপর শুক্রবার হেনেপিন কাউন্টি অ্যাটর্নি মাইক ফ্রিম্যান বরখাস্ত পুলিশ কর্মকর্তা ডেরেক শভিনের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ আনেন। বিভিন্ন ভিডিওতে সবচেয়ে পরিষ্কারভাবে এই শভিনকেই ফ্লয়েডের ঘাড়ে হাঁটু তুলে দিয়ে রাস্তার সঙ্গে চেপে ধরে রাখতে দেখা যায়।
তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগে বলা হয়েছে, শ্বেতাঙ্গ ওই পুলিশ সদস্য ফ্লয়েডের ঘাড়ে হাঁটু দিয়ে ৮ মিনিট ৪৬ সেকেন্ড ধরে চেপে রেখেছিলেন। ভিডিওতে দেখা গেছে, ফ্লয়েড অচেতন হয়ে যাওয়ার পরও শভিন তার হাঁটু সরাননি। চিকিৎসাকর্মীরা ঘটনাস্থলে আসার পরও পুরো এক মিনিট ধরে ফ্লয়েডের ঘাড় চেপে ধরে রেখেছিলেন তিনি।
বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ঘটনার সূত্রপাত ২৫ মে। মিনিয়াপোলিসের স্থানীয় সময় সন্ধ্যায়। এক খাবারের দোকানের কর্মচারী ৯১১ এ কল করে অভিযোগ করেন, এক ক্রেতা সিগারেট কেনার পর ২০ ডলারের জাল নোট দিয়েছে। পুলিশ এসে ওই অভিযোগে ৪৬ বছর বয়সী ক্রেতা জর্জ ফ্লয়েডকে গ্রেফতার করে। পুলিশ এসে তাকে ঘিরে ধরে।তার ওপর নিপীড়ন শুরু করে।ঘটনাস্থলে পুলিশের গাড়ি আসার ৭২ মিনিট পর রাস্তায় তিন পুলিশের নিচে চাপা পড়ে থাকা ফ্লয়েড অচেতন হয়ে ছিলেন, তার মধ্যে প্রাণের কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছিল না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *