৫ ওয়াক্ত নামাজে শারিরীক সুস্থ থাকা যায়- মার্কিন গবেষনা

Spread the love

নাগরিক ডেস্ক : নামাজ বা সালাত হলো ইসলাম ধর্মের প্রধান উপাসনা কর্ম। প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত (নির্দিষ্ট নামাজের নির্দিষ্ট সময়) নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলিমের জন্য আবশ্যক বা ফরজ। নামাজ ইসলামের পঞ্চস্তম্ভের একটি। ঈমান বা বিশ্বাসের পর নামাজই ইসলামের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ।

আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য মুসলিমরা দিনে পাঁচবার নামাজ পড়ে। এর মাধ্যমে মূলত আল্লাহর একটি আদেশ পালন হয়। সেই সঙ্গে আল্লাহর সাথেও সাক্ষাত হয়। এই নামাজকে বলা হয় মুমিনের মেরাজ। পবিত্র কুরআনে মহান আল্লাহপাক ইরশাদ করেছেন, তোমরা নামাজ শেষ করার পর দাঁড়িয়ে, বসে ও শুয়ে সব অবস্থায় আল্লাহকে স্মরণ করতে থাকো।

নামাজ নির্ধারিত সময়ে পড়ার জন্য মুমিনদের ওপর ফরজ করা হয়েছে। নামাজের এই বিধানটি মুসলমানদের জন্য অনেকভাবেই উপকারী। বিশেষভাবে নামাজ মানসিক চাপ থেকে মুক্তি দেয়। যেই মানুসিক চাপগুলো আমাদের দৈনন্দিনের জীবনে তৈরি হয়। নামাজ বিশেষভাবে মহান আল্লাহর সাথে বান্দার সম্পর্ক তৈরির ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রাখে। কেননা নামাজের মাধ্যমেই আল্লাহর সাথে বান্দার সম্পর্ক বৃদ্ধি পায়।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বিংহ্যাম্পটন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা এটা প্রমাণ করেছে যে, দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ার মাধ্যমে মানুষ স্বাস্থ্যগত দিক থেকেও উপকৃত হতে পারে এবং শারীরিকভাবে সুস্থ থাকতে পারে। গবেষকরা বলেছেন, নামাজের সময় শারীরিক যে ক্রিয়া হয়ে থাকে, এটা যদি নিয়মিতভাবে ও নির্ধারিত সময়ে হয় তবে অন্য সকল চিকিৎসা থেকে পিঠের ব্যথা কমানোর ক্ষেত্রে বেশি ভূমিকা পালন করবে এই নামাজ।

শারীরিক এই উপকার ছাড়াও নামাজ আল্লাহর সাথে মানুষের সম্পর্ক বৃদ্ধি করে। আর এই সম্পর্ক মানুষের আত্মাকে প্রশান্ত করে। নিয়মিত নামাজ শরীরের ওপর এই ঝিম প্রভাব, রক্তচাপ এবং হৃদস্পন্দন কমাতে পারে, পরিণামে পেশী শিথিল করতে সাহায্য করে। পবিত্র কুরআনে মহান আল্লাহপাক ইরশাদ করেছেন, তারাই এ ধরনের লোক যারা (এ নবীর দাওয়াত) গ্রহণ করেছে এবং আল্লাহর স্মরণে তাদের চিত্ত প্রশান্ত হয়।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বিংহ্যাম্পটন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা দেখিয়েছেন, যদি কেউ ঠিকমতো রুকু করতে পারে, তাহলে তার পিঠে কোনো ব্যথা থাকবে না। কেননা রুকুর সময়ই পিঠ সময় হয়ে থাকে। এই গবেষণায় মূলত নামাজ পড়লে শারীরিক যে উপকারগুলো হবে সেই বিষয়গুলোকেই বড় করে তুলে ধরা হয়েছে।

রুকু : নিচের পিঠ, উরু এবং ঘাড়ের পেশীগুলি সম্পূর্ণভাবে প্রসারিত করে। রক্ত শরীরের ওপরের অংশে প্রবাহিত হয়।

সিজদা : সিজদা দিলে হাড়ের জোড়ার নমনীয়তা বাড়ে। মাথা নামানোর সময় মস্তিকে রক্ত সঞ্চালন হলে রক্তচাপও কমে, এবং মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বৃদ্ধি পায়। সিজদার পুনরাবৃত্তি: এই সিজদা শরীরিরে ভারসাম্য এনে দেয়।

এটা সত্য যে নামাজ শারীরিক উপকারের জন্য পড়তে হয়না। নামাজ পড়তে হয় মহান আল্লাহর আদেশ পালন করার জন্য। বিভিন্ন পরীক্ষায় দেখা গেছে যারা নিয়মিত নামাজ পড়ে থাকেন তারা শারীরিক অনেক সমস্যা থেকে মুক্ত থাকেন। এবং তাদের রোগ ব্যাধির হওয়ার সম্ভাবনাও কম থাকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *