নাগরিক রিপোর্ট : বরিশালে শিশু ছাত্র বলৎকারের অভিযোগে মাদরাসা শিক্ষক আরিফুল ইসলামকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। ঘটনার শিকার শিশুটিকে বরিশাল শেরেবাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। নগরীর বর্ধিত এলাকা ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের রূপাতলী দারুস সুন্নাহ কওমী মাদরাসায় শিশুটি বলৎকারের শিকার হয়। সে ওই মাদরাসার হেফজ বিভাগের ছাত্র ছিল।
শিশুটির বাবা নগরীর ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের হরিনাফুলিয়া মিস্ত্রি বাড়ি এলাকার সাকিবুল ইসলাম জানান, কোরআনে হাফেজ করার উদ্দেশ্যে তার ছেলেকে ২ বছর আগে ওই মাদরাসায় ভর্তি করেছিলেন। সে আবাসিক ছাত্র হিসেবে সেখানে থেকে পড়ালেখা করতো। গত সোমবার ছেলের সঙ্গে দেখা করতে মাদ্রাসায় যায় তার মা। এ সময় শিশুটি তার মায়ের সঙ্গে কান্নাকাটি করে জানায়, গত বৃহস্পতিবার রাতে সে শিক্ষকের বলৎকারের শিকার হয়েছে। এ ঘটনা কাউকে না জানাতে শিশুটিকে হুমকী দেয়া হয়েছে। এমনকি ওই ঘটনার পর শিশুটি অসুস্থ হলেও মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ তাকে কোন ধরনের চিকিৎসার ব্যবস্থা করেনি। পরে সোমবার রাতে শের-ই বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় (শেবাচিম) হাসপাতালের শিশু সার্জারীতে ভর্তি করেন অভিবাবকরা।
শেবাচিম হাসপাতালে দায়িত্বরত মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পরিদর্শক মো. নাজমূল হুদা জানান, অসুস্থ্য শিশুটিকে শিশু সার্জারী থেকে মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টায় ওসিসি’তে স্থানান্তর করা হয়েছে। সেখানে তার চিকিৎসা চলছে।
রূপাতলী দারুস সুন্নাহ্ কওমী মাদ্রাসার প্রিন্সিপ্যাল মাওলানা মো. মজিবর রহমান জানান, শিশুটিকে বলৎকারের খবর তারা জানতেন না। অভিযোগ ওঠার পর অভিযুক্ত শিক্ষক আরিফুল ইসলামকে মঙ্গলবার সকালে পুলিশ গ্রেফতার করেছে।
শিশু বলৎকারের ঘটনায় গ্রেফতার মাদ্রাসা শিক্ষক আরিফুল ইসলামের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছেন কোতয়ালী মডেল থানার ওসি মো. নুরুল ইসলাম। ##
২০২০-০৯-০৮