চলছে ভয়াবহ যুদ্ধ!

Spread the love

নাগরিক ডেস্ক: আলোচনার টেবিলে বসতে নারাজ আজারবাইজান ও আর্মেনিয়া দুই পক্ষই। মঙ্গলবার থেকে বিতর্কিত নাগরনো-কারাবাখ অঞ্চলে ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে যুদ্ধ। বাড়ছে তুরস্ক ও রাশিয়ার যুক্ত হওয়ার সম্ভাবনা। ফলে ককেশাস অঞ্চলে অস্থিরতা তুঙ্গে।

আজারবাইনের বিতর্কিত অঞ্চল নাগরনো-কারাবাখ অঞ্চলে তুমুল গোলাবর্ষণ চলছে। নাগরনো-কারাবাখ অঞ্চলটি আজারবেইজানের ভৌগলিক সীমানার মধ্যে হলেও সেটির দখল রয়েছে আর্মেনিয়ান বিরোধীদের হাতে।

এই সংঘর্ষে এপর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে প্রায় এক শতাধিক লোকের। রবিবার থেকে এখন পর্যন্ত আজারবাইজানের চারটি সামরিক হেলিকপ্টার গুলি করে নামিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি ১০টি ট্যাংক ও ১৫ টি ড্রোনে আঘাত হানা হয়েছে বলে দাবি করেছে আর্মেনিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়৷

অন্যদিকে আজারবাইজান দাবি করেছে, আর্মেনিয়ান সেনাবাহিনীর সাঁজোয়া যানসহ ১৩০ টি ট্যাংক ধ্বংস করে দিয়েছে। এছাড়াও, ২ শতাধিক আর্টিলারি এবং মিসাইল সিস্টেম, ২৫ টি আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, ৬ টি অবজারবেশন জোন, ৫ টি গোলাবারুদের ডিপো, ৫০ টি এন্টি-গান ও ৫৫ টি সেনা গাড়ি ধ্বংস করা হয়েছে বলে জানায়।

রবিবার দুই দেশের মধ্যে লড়াই শুরু হওয়ার পর থেকেই সংঘর্ষ থামানোর পরামর্শ দিয়েছে আমেরিকা, রাশিয়া ও বাকি দেশগুলি। কিন্তু সেই প্রস্তাব উড়িয়ে দিয়েছে দুই প্রতিবেশী দেশ। রুশ সংবাদমাধ্যমে আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিযেভ সাফ জানিয়ে দেন এই বিষয়ে আলোচনা করার মতো কিছু নেই। ঐ সংবাদমাধ্যমেই দেওয়া এক বিবৃতিতে আর্মেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী নিকোল পাশিনিয়ান বলেন, ‘লড়াই চলাকালীন আলোচনার কোনও সম্ভাবনা নেই।’

আর্মেনিয়ার সঙ্গে সামরিক চুক্তি রয়েছে রাশিয়ার। এর ফলে ওই দেশের উপর হামলা হলে সাহায্য করতে হবে রুশ সেনাবাহিনীকে। কিন্তু আজারবাইজানের সঙ্গেও ভাল সম্পর্ক রয়েছে রাশিয়ার। তাই এই সংঘর্ষ দ্রুত মিটিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এই বিষয়ে তুরস্কের সঙ্গেও আলোচনা চালাচ্ছে মস্কো।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *