কুয়াকাটায় হচ্ছে পবিপ্রবির মেরিন ফিশারিজ রিসার্চ ইনস্টিটিউট

Spread the love

নাগরিক ডেস্ক: সাগরকন্যা খ্যাত কুয়াকাটায় পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়কে মেরিন ফিসারিজ রিসার্চ ইনস্টিটিউট খোলার অনুমোদন দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি)। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সদিচ্ছায় ব্লু-ইকোনমি ও সমুদ্র গবেষণায় সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে মেরিন ফিশারিজ রিসার্চ ইনস্টিটিউট খোলার কাজ শুরু করেন পবিপ্রবির সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. শামসুদ্দীন।

পরে বর্তমান উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. হারুনর রশীদ এ কার্যক্রমকে আরও ত্বরান্বিত করেন। এরই ধারাবাহিকতায় সরেজমিন পরিদর্শন, যৌক্তিকতা, প্রয়োজনীয়তা ও সক্ষমতা যাচাই পূর্বক কুয়াকাটায় মেরিন ফিশারিজ রিসার্চ ইনস্টিটিউট খোলার অনুমোদন দেয় ইউজিসি।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, ইনস্টিটিউটটি নির্মাণের ক্ষেত্রে কুয়াকাটার গঙ্গামতি এলাকার নতুন পাড়া নামক স্থানে ৫০ একর জমি প্রাথমিকভাবে নির্ধারণ করা হয়েছে।

অবকাঠামোগত উন্নয়নের বিষয়ে পবিপ্রবির তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. আমির হোসেন জানান, ‘প্রকল্পটি রিভিউ করার জন্য নির্দেশনা এসেছে। আমরা যথা সময়ে প্রজেক্টে রিভিউ করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠিয়ে দেব।’

এদিকে বঙ্গোপসাগরের উপকূলে মেরিন ফিশারিজ রিসার্চ ইনস্টিটিউট চালু হলে বিশাল সমুদ্র সম্পদের পরিকল্পিত ব্যবহার নিশ্চিত করা যাবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

এ বিষয়ে পবিপ্রবির মৎস্য বিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মো. লোকমান আলী বলেন, ‘সমুদ্র সম্পদ শনাক্তকরণ, আহরণ ও পরিকল্পিত ব্যবহার নিশ্চিত করতে মূলত কাজ করবে এই রিসার্চ ইনস্টিটিউট। এছাড়া উপকূলীয় এলাকার জনসাধারণের জীবনমান উন্নয়নের ক্ষেত্রে মেরিন ফিশারিজ রিসার্চ ইনস্টিটিউট ব্যাপক ভূমিকা রাখতে পারবে বলে মনে করেন শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের একোয়াকালচার বিভাগের শিক্ষক ও পবিপ্রবির মৎস্য বিজ্ঞান অনুষদের সাবেক শিক্ষার্থী মীর মোহাম্মদ আলী।’

তিনি বলেন, ‘সমুদ্র সম্পদ নির্ভর অর্থনীতিকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে শক্ত ভূমিকা রাখতে পারবে মেরিন ফিশারিজ রিসার্চ ইনস্টিটিউট।’

পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়কে মেরিন ফিশারিজ রিসার্চ ইনস্টিটিউট খোলার ক্ষেত্রে নীল অর্থনীতির (ব্লু-ইকোনমি) গুরুত্বকে অগ্রাধিকার দিয়ে ভূমি অধিগ্রহণ ও শিক্ষার্থীদের গবেষণার সুবিধার্থে আধুনিক যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জামাদি দ্বারা আন্তর্জাতিক মানের গবেষণাগার প্রতিষ্ঠা করাসহ মোট চারটি শর্ত দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন।

এসব বিষয়ে জানতে চাইলে পবিপ্রবির রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. স্বদেশ চন্দ্র সামন্ত সাংবাদিকদের জানান, ‘ইউজিসি থেকে অনুমোদন পাওয়ার পরই যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে সার্বিক বিষয়ে কাজ শুরু করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *