‘বঙ্গবন্ধু দেশের জন্য নিজেকে উৎসর্গ করেছেন’

Spread the love

নাগরিক রিপোর্ট: বরিশাল বিশ্বিবদ্যালয়ের ভূতত্ত¡ ও খনিবিদ্যা বিভাগ আয়োজিত বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে বাংলাদেশের খনিজ সম্পদ : বঙ্গবন্ধুর অবদান ও ভাবনা শীর্ষক ভার্চুয়াল আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার সকাল ১১ টায় জুমের মাধ্যমে ভার্চুয়াল আলোচনা সভাটি অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ¦ালানী ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা (মন্ত্রী) ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী, বীর বিক্রম।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু সারাটা জীবন মানুষের জন্য নিবেদিত ছিলেন। তিনি বাংলাদেশর জন্য নিজেকে উৎসর্গ করে গিয়েছেন। শুধু স্বাধীনতা অর্জনই নয় স্বাধীনতা যুদ্ধের পর বাংলাদেশকে নিয়ে তিনি এক দুঃসাহসী অভিযানে নামেন এবং বাংলাদেশকে বিশে^র বুকে একটি শক্ত অবস্থানে দাড় করানোর চেষ্টা করেছেন। তিনি সব সময় দুরদর্শী চিন্তা করতেন। শুধু বাংলাদেশের খনিজ সম্পদই নয় তিনি সকল ক্ষেত্রে আমাদের দিক নির্দেশনা প্রদান করে গিয়েছিলেন। তিনি আরও বলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর চিন্তা ধারার ধারক ও বাহক। তিনিও বঙ্গবন্ধুর মত করে এ দেশটাকে নিয়ে ভাবেন। বঙ্গবন্ধু অনেক স্বপ্ন নিয়ে এ দেশটার স্বাধীনতা এনে দিয়েছিলেন। তাই আমাদের তরুন প্রজন্মেরও উচিত তাঁর আদর্শকে বুকে ধারন করে স্বগর্বে এগিয়ে চলা।

বরিশাল বিশ্বিবদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. ছাদেকুল আরেফিন এর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন ঢাকা বিশ্বিবদ্যালয়ের উপ উপাচার্য প্রফেসর ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল।

সভাপতির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ছাদেকুল আরেফিন জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, স্বাধীনতা যুদ্ধের সেই সকল বীর মুক্তিযোদ্ধা যাদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে আমাদের স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে এবং ১৫ আগস্টে বঙ্গবন্ধু পরিবারের শাহাদাৎ বরণকারী সদস্য ও বরিশালের কৃতি সন্তান শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাতসহ তাঁর পরিবারের শাহাদাৎ বরণকারী সদস্যদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে বলেন, বঙ্গবন্ধু এমন একজন নেতা ছিলেন যাঁর চিন্তাই ছিলো বাঙালী ও বাংলাদেশকে ঘিরে। তাঁর মধ্যে পাহাড় সমান দৃঢ়তা ছিলো।

তিনি দুরদর্শী চিন্তা করতেন স্বপ্ন দেখতেন এক সমৃদ্ধ বাংলাদেশের। তিনি আরও বলেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় একটি নবীন বিশ্বিবিদ্যালয় হলেও এ বিশ্ববিদ্য়ালয়ের স্বপ্ন দেখেছিলেন বঙ্গবন্ধু। ১৯৭৩ সালে বরিশালের বঙ্গবন্ধু উদ্যানে তিনি এক জনসভায় বলেছিলেন ঢাকার বাইরে পরবর্তী যে বিশ^বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হবে সেটি হবে বরিশালে। তাঁর সেই স্বপ্নকে বাস্তবে রূপদান করেন তাঁরই সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আমাদের মনে রাখতে হবে বাংলাদেশ মানেই বঙ্গবন্ধু, বঙ্গবন্ধুর চেতনাই বাংলাদেশের চেতনা। আমরা যারা এ প্রজন্মের আছি আমাদের উচিত বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে আগামী প্রজন্মের মধ্যে ছড়িয়ে দেয়া যাতে করে তাদের মধ্যে ত্যাগের মহিমা তৈরি হয়। তরুন প্রজন্মের কাছে তিনি আহবান রেখে বলেন, তারা যদি তাদের গর্বের রোল মডেল হিসেবে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, আর উন্নয়ন নেতৃত্বের রোল মডেল হিসেবে প্রধানমন্ত্রীকে অনুসরণ করে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ, দুরদর্শীতা ও ত্যাগের মহিমাকে সামনে রেখে এগিয়ে যায় তাহলেই গড়ে উঠবে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ।

সভায় বাংলাদেশের খনিজ সম্পদ : বঙ্গবন্ধুর অবদান ও ভাবনা শীর্ষক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্বিবিদ্যালয়ের ভূতত্ত¡ বিভাগের অধ্যাপক ড. বদরুল ইমাম। বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ও রেজিস্ট্রার (অ.দা,) অধ্যাপক ড. মোঃ মুহসিন উদ্দীনের সঞ্চালনায় সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন ভূ-তত্ত¡ ও খনিবিদ্যা বিভাগের চেয়ারম্যান সহকারী অধ্যাপক আবু জাফর মিয়া। আলোচনা সভাটির সার্বিক সহযোগীতায় ছিলেন নেটওয়াকিং এন্ড আইটি অফিসের পরিচালক কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক রাহাত হোসাইন ফয়সাল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *