নাগরিক ডেস্ক:
পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা ও রোগব্যাধি ছড়িয়ে পড়া থেকে সুরক্ষা দিতে শকুনের বিকল্প নেই। যদিও প্রাকৃতিক এ সুরক্ষাকবচই এখন মহাবিপন্নের তালিকায়। বর্তমানে দেশে শকুনের সংখ্যা কমবেশি ২৬০টির কাছাকাছি। দেশে শকুনের সংখ্যা এভাবে কমে যাওয়ার পেছনে দায়ী করা হচ্ছে পশুপালন খাতে কিটোপ্রোফেন ও ডাইক্লোফেনাক সোডিয়ামের মতো অনিরাপদ ওষুধের ব্যবহারকে। বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে পশুপালন খাতে কিটোপ্রোফেন-জাতীয় ওষুধের ব্যবহার বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে মন্ত্রিসভা।
স্বাধীনতার সময়েও দেশে শকুনের সংখ্যা ছিল ৫০ হাজারের বেশি। ওই সময় শকুনের ব্যাপক উপস্থিতি থেকে বেশকিছু গণকবরও শনাক্ত হয়েছিল। এরপর গত কয়েক দশকে বাংলার আকাশ থেকে শকুনের সংখ্যা কমেছে আশঙ্কাজনক হারে। বিষয়টি সামনে আসার পর শকুনের সংখ্যা বৃদ্ধি ও সংরক্ষণে উদ্যোগী হয় সরকার। তবে শকুন সংরক্ষণে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণের পরও পাখিটির সংখ্যা কমে যাওয়া ঠেকানো যায়নি। এর কারণ অনুসন্ধান করে বিশেষজ্ঞরা দেখতে পেয়েছেন, পশুপালনে কিটোপ্রোফেন ও ডাইক্লোফেনাক সোডিয়ামের মতো ওষুধের ব্যবহার বৃদ্ধির কারণে শকুনের সংখ্যা কমছে। এরই মধ্যে পশুপালনে ডাইক্লোফেনাক সোডিয়ামের ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছে সরকার। কিটোপ্রোফেন বন্ধেও সিদ্ধান্ত হয়েছে গতকালই ।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক ভার্চুয়াল মন্ত্রিসভা বৈঠকে গতকাল পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের এ-সংক্রান্ত প্রস্তাবে অনুমোদন দেয়া হয়। গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রী ও সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে মন্ত্রীরা ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে বৈঠকে যোগ দেন।
সভা শেষে সচিবালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, গবাদিপশুর ব্যথানাশক কিটোপ্রোফেন-জাতীয় ওষুধের প্রভাবে শকুনের সংখ্যা নেমেছে ২৬০টিতে। দেশে মহাবিপন্ন এ শকুন রক্ষায় কিটোপ্রোফেন-জাতীয় ওষুধের উৎপাদন বন্ধে সায় দিয়েছে মন্ত্রিসভা।