পিরোজপুর প্রতিনিধিঃ
পিরোজপুরের ইন্দুরকানীতে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে ভাতিজাদের হাতে চাচা খুন হয়েছে। শনিবার রাতে উপজেলার রামচন্দ্রপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ইন্দুরকানী থানার ওসি মো: হুমায়ুন কবির রবিবার দুপুরে সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
স্থানীয় ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, উপজেলার মধ্য বালিপাড়া গ্রামের মৃত আদেল চৌকিদারের ছেলে মোঃ ইসমাইল চৌকিদার (৫৫) ও তার ছেলে ফিরোজ চৌকিদার (২৫)কে নিয়ে রামচন্দ্রপুর এলাকার দেবীপুরে তার শ^শুর বাড়ি যাচ্ছিলো। পথিমধ্যে পূর্ব পরিপরিকল্পিত ভাবে ইসমাইল চৌকিদারের ভাতিজা সাইফুল চৌকিদার ও শহীদ চৌকিদারের নেতৃত্বে শহীদের ছেলে সোহেল ও জুয়েল সহ ৭ থেকে ৮ জন লোক তাদেরকে ধারালো দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে এবং ইট দিয়ে থেথলিয়ে রক্তাক্ত করে ফেলে রেখে যায়।
পরে স্থানীয়রা তাদেরকে গুরুতর আহত অবস্থায় দেখতে পেয়ে ৯৯৯ কল দেয়। ফোন পেয়ে ইন্দুরকানী থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে গুরুতর আহত অবস্থায় তাদেরকে উদ্ধার করে প্রথমে পিরোজপুর সদর হাসাপাতালে এবং অবস্থার অবনতি হলে পরে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইসমাইল চৌকিদার শনিবার রাত ৪টায় মারা যান। এ ছাড়া তার ছেলে গুরুতর আহত ফিরোজ চৌকিদার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বিরোধীয় সম্পত্তিতে ইসমাইল চৌকিদারের ভাতিজা সাইফুল চৌকিদার ও শহীদ চৌকিদার ঘর তুলতে গেলে তারা চাচা আদালতের মাধ্যমে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন। তাই ভাতিজারা ক্ষিপ্ত হয়ে পরিকল্পিত ভাবে চাচাকে হত্যা করে।
নিহত ইসমাইল চৌকিদারের ছেলে গুরুতর আহত চিকিৎসাধীন ফিরোজ চৌকিদার জানান, শনিবার রাতে আমি ও আমার পিতা আমার নানা বাড়ি যাওয়ার সময় পূর্ব শত্রæতার জের ধরে আমার চাচাতো ভাই সাইফুল চৌকিদার ও শহীদ চৌকিদার, জুয়েল চৌকিদার ও সোহেল চৌকিদার সহ ৭/৮ জন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমাদের উপর হামলা চালায়।
ইন্দুরকানী থানার ওসি মোঃ হুমায়ুন কবির জানান, শনিবার রাতে খবর পেয়ে উপজেলার রামচন্দ্রপুর এলাকা থকে পিতা ও পুত্রকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। পরে তাদেরকে চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় একজনের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।