মিয়ানমারে পুলিশের গুলি, নিহত ৭

Spread the love

নাগরিক ডেস্ক:
মিয়ানমারে সামরিক জান্তাবিরোধী বিক্ষোভে পুলিশের গুলিতে রোববার (২৮ ফেব্রুয়ারি) কমপক্ষে সাতজন নিহত হয়েছে। সরকারবিরোধী টানা বিক্ষোভে এটি ছিল এক রক্তাক্ত দিন। খবর রয়টার্সের।

বার্তা সংস্থার খবরে বলা হয়েছে, সেখানকার ক্যাথলিক কার্ডিনাল চার্লস মাং বো বলেছেন, মিয়ানমার এখন যুদ্ধ ময়দানে পরিণত হয়েছে। টুইটার পোস্টের বরাত দিয়ে খবরে আরো বলা হয়, দেশটির বৃহত্তম শহর ইয়াঙ্গুনের বিভিন্ন স্থানে টিয়ারগ্যাস, ফাঁকা গুলি ও সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে ব্যর্থ হয়ে পুলিশ গুলি চালায়। পুলিশের গুলিতে আহত বিক্ষোভকারীদের সহকর্মীরা সরিয়ে নিয়ে যায়। রাজপথে ছোপ ছোপ রক্তের ছবি ধারণ করেছেন চিত্রগ্রাহকরা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ডাক্তারের বরাত দিয়ে রয়টার্স জানায়, বুকে গুলিবিদ্ধ একজনকে হাসপাতালে নিয়ে আসার পর তিনি মারা যান।

শিক্ষকদের একটি প্রতিবাদ সমাবেশ ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ গ্রেনেড ছুড়লে ভয় ও আতঙ্কে হার্ট অ্যাটাক হয়ে এক মহিলা মারা যান। নিহত শিক্ষকের মেয়ে ও সহকর্মীরা এ কথা নিশ্চিত করেছেন। দিয়াউয়িতে পুলিশের গুলিতে তিনজন নিহত ও বেশ কয়েকজন রাজনীতিক আহত হয়েছেন। ‘মিয়ানমার নাও’ প্রচারমাধ্যম আরো দুজন নিহত হওয়ার তথ্য জানিয়েছে। বিক্ষোভে পুলিশের গুলিতে কতজন নিহত হয়েছে, সে বিষয়ে সামরিক জান্তা বা পুলিশের পক্ষ থেকে কিছু জানানো হয়নি।

মিয়ানমারের দক্ষিণের শহর মাইয়েক এবং উত্তরাঞ্চলীয় লাসিহোতে ব্যাপক বিক্ষোভের খবর পাওয়া গেছে। এদিকে মিয়ানমারের সামরিক জান্তা জেনারেল মিন অং হ্লেইং বলেছেন, বিক্ষোভ দমনে খুব সামান্য শক্তি প্রয়োগ করা হচ্ছে।

গত ১ ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারে সামরিক সরকার ক্ষমতা গ্রহণ করে। তারপর থেকে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভে এ পর্যন্ত কমপক্ষে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। বিক্ষোভ দমনে সামরিক সরকার দেশব্যাপী চরম দমন-পীড়ন শুরু করেছে।

নিউইয়র্কভিত্তিক মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচের এশিয়াবিষয়ক ডেপুটি ডিরেক্টর ফিল রবার্টসন বলেছেন, মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনী বিক্ষোভ দমনের নামে যে প্রাণঘাতী শক্তি ব্যবহার করছে, তা আপত্তিকর ও অগ্রহণযোগ্য।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *