পত্রিকাও বন্ধ করলো মিয়ানমার জান্তা

Spread the love

নাগরিক ডেস্ক:
অভ্যু্ত্থানবিরোধী বিক্ষোভ দমন করতে নানা কৌশল নিচ্ছে মিয়ানমারের জান্তা সরকার। বিভিন্ন রাজ্যে ইন্টারনেট সেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে, বন্ধ রয়েছে সামাজিক যোগাযোগের নানা মাধ্যমও। এবার সবশেষ বেসরকারি পত্রিকার প্রকাশনও বন্ধ করে দিয়েছে জান্তা সরকার।

বৃহস্পতিবার দেশটির সর্বশেষ বেসরকারি পত্রিকার প্রকাশ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সেইসঙ্গে ইন্টারনেট সেবা আরও সীমিত করে দেওয়া হয়েছে। মিয়ানমারবাসীকে বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন করতেই জান্তা সরকার এসব কৌশল নিচ্ছে বলে জানিয়েছে অনেকে। খবর রয়টার্সের

গত ১ ফেব্রুয়ারি এক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে মিয়ানমারের নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। এরপর থেকে দেশটিতে চলছে অভ্যু্ত্থানবিরোধী বিক্ষোভ।

চলমান বিক্ষোভে এখন পর্যন্ত ২১৭ জন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে অ্যাসিস্ট্যান্স অ্যাসোসিয়েশন ফর পলিটিকাল প্রিজনার্স (এএপিপি) নামে একটি অধিকার সংগঠন। তবে নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

বিক্ষোভকারীরা যাতে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে না পারে তার জন্য জান্তা সরকার অনেক এলাকায় এই সেবা সীমিত করে দিয়েছে। পাবলিক প্লেসে ওয়াইফাই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

দক্ষিণে দাউইসহ কয়েকটি শহরে ইন্টারনেটে সেবা পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বেসরকারি তাচিলিক নিউজ এজেন্সি ক্যাবল কাটার ছবি প্রকাশ করেছে। জানা গেছে, প্রতিবেশী থাইল্যান্ডের সঙ্গে ফাইবার সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে এই ক্যাবল কাটা হয়েছে।

জেনেভায় অবস্থিত মার্কিন মানবাধিকার অফিস জানিয়েছে, মিয়ানমারে ৩৭ জন সাংবাদিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এদের মধ্যে এখনও ১৯ জনকে বন্দি করে রাখা হয়েছে।

বিক্ষোভ শুরুর পরে জান্তা সরকার কয়েকটি পত্রিকা বন্ধ করার নির্দেশ দেয়। অন্যরাও পত্রিকা বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছে। বুধবার সর্বশেষ বেসরকারি পত্রিকার ছাপাও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

পশ্চিমা দেশগুলি মিয়ানমারে সেনা অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা জানিয়ে সহিংসতা বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে। এশীয় প্রতিবেশীরা সঙ্কটের সমাধান খুঁজতে সহায়তা করার প্রস্তাব দিয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *