হেফাজতের টাকার উৎস্য কোথায়?- মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রী

Spread the love

নাগরিক ডেস্ক : মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আকম মোজাম্মেল হক এমপি বলেছেন, হেফাজতে ইসলাম নামধারী কিছু উগ্রপন্থি দেশে তান্ডব চালাচ্ছে। তারা ধর্মকে ব্যবহার করে দুই গ্রুপে বিভক্ত হয়ে পড়েছে। হেফাজতে ইসলামের এক পক্ষ যখন দেশের বিভিন্ন স্থানে তান্ডব চালাচ্ছে আর আরেক পক্ষ সংবাদ সম্মেলন করে বলছেন আমরা এ তান্ডবের নিন্দা জানাই।

মন্ত্রী আরো বলেন,আমরা তাদের স্বাগত জানাই, যাদের এই শুভ বুদ্দির উদয় হয়েছে। বাংলাদেশ যে আজকে পৃথিবীতে উন্নয়নের রোল মডেল হয়েছে এটা তারা মেনে নিতে পারছে না। তাদের (হেফাজতের) সাধের পাকিস্তান আজকে ব্যর্থ ও অকার্যকর রাষ্ট আর বাংলাদেশ এত উন্নয়ন এত এগিয়ে যাবে এটা তারা মেনে নিতে পারছে না। তাই তারা বিভিন্ন ছুতা খুঁজে অকারণে আন্দোলন করছে। কিন্তু আল্লাহর মাইর দুনিয়ার মাইর, ইনশাল্লাহ, জাতি জানতে পারবে সব কিছু। হেফাজতের টাকার উৎস কোথায়। সেগুলো জাতির সামনে পরিষ্কার হবে। আমি আপনি নয় তাদের ব্যপারে ব্যাংক সাক্ষী দিবে সরকারের কাছে অনেক তথ্য অহরহ আসছে। কেঁচো খুঁড়তে গিয়ে সাপ বেরিয়ে আসছে।

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আকম মোজাম্মেল হক এমপি মঙ্গলবার দুুপুরে গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার চা’বাগান এলাকায় কাজী সাইয়্যেদুল আলম উচ্চ বিদ্যালয়ের চারতলা ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেছেন।

এসময় মন্ত্রী আরো বলেন, দেশে সব মানুষ যার যার ধর্ম সে সে পালন করবে। আপনারা দেখেছেন ধর্মের নামে কত তান্ডব চালানো হয়েছে। অফিস আদালত পুড়ানো হয়েছে। ইউনও ও এসিল্যান্ডের অফিস পুড়ানো হয়েছে। সেখানকার অনেক ডোকুমেন্ট পুড়িয়েছে। সেখানকার মানুষ হা হা-কার করছে। যারা জনগণের ক্ষতি কওে, তারা কারো বন্ধু হতে পারে না। আমরা হক কানে আলেমদের অনুরোধ করবো, আপনারা আল্লাহর হুকুম সমন্ধে জনগণকে নসিহত করবেন।

মন্ত্রী আরো বলেন,আমরা সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষা ব্যবস্থা পরির্বতন করেছি। এসব প্রাইমারি স্কুল ও হাই স্কুল গুলোকে আমরা চেষ্টা করেছি ৪তলা করে দেওয়ার জন্য এবং একই ভাবে সকল মাদরাসা ও মসজিদগুলোর ভবন করে দিয়েছে। রাস্তা ঘাট সংস্কার করাসহ গ্রামে গ্রামে বিদ্যুৎ পৌছে দেওয়া হয়েছে। বাড়ি বাড়ি সাব মার্সিবল পাম ২০২১ সাল থেকে বিতরণ করা হবে। বাংলাদেশে কোন মানুষ গৃহহীন থাকবে না ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *