নাগরিক রিপোর্ট:
বরিশাল গনপূর্ত অধিদপ্তরে ঠিকাদারী কাজের চেক নিয়ে রবিবার দুই পক্ষে হাতাহাতি হয়েছে। প্রায় আড়াই কোটি টাকার চেক ঠিকাদার আকবরুজ্জামন নিয়ে যাওয়কালে তার পার্টনার মেহেদী হাসান সুমন বাধা প্রদান করেন। এ নিয়ে গনপূর্তে উত্তেজনা দেখা দিলে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। অভিযোগ রয়েছে, ঠিকাদার আকবর প্রভাবশালীদের মাধ্যমে একাধিকবার নির্বাহী প্রকৌশলীকে ফোন দিয়ে ওই চেক নেয়ার চেস্টা করেছিল।
জানা গেছে, ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান পলি ইঞ্জিনিয়ারিং এর স্বত্তাধীকারী আকবরুজ্জামন এর প্রতিষ্ঠানের অনুকুলে দীর্ঘদিন গনপূর্ত দপ্তরের কাজ করে আসছিলেন ঠিকাদার মেহেদী হাসান সুমন। সম্প্রতি সুমন ও আকবর এর সাথে দ্বন্দ সৃস্টি হয়। যেকারনে ওই প্রতিষ্ঠানের বিপরীতে যে কাজ হয়েছে তার চেক নিয়ে দুই পক্ষে বিরোধ চলছিল। রবিবার গনপূর্ত দপ্তরে ঠিকাদার আকবর বহিরাগত নিয়ে চেক নেতে আসলে বাধা প্রধান করে তার পার্টনার সুমন।
জানতে চাইলে ঠিকাদার মেহেদী হাসান সুমন বলেন, ২০১৪ সাল থেকে আকবরের সাথে তিনি পার্টনারে কাজ আকবর ঢাকায় থাকতেন। আর যত কাজ তিনিই করতেন। আকবর তার কাজের নির্মান সামগ্রী নিয়ে বরিশালে ভবন করেছেন। দীর্ঘদিন তার লাইসেন্সে ২৩টি সাইটের কাজ করলেও আকবর এখন আর চিনেন না। রবিবার প্রায় আড়াই কোটি টাকার চেক বহিরাগত এনে নিয়ে যাওয়ার চেস্টা করেন। এমনকি নির্বাহী প্রকৌশলী চেক দেয়ার জন্য প্রভাবশালীরা ফোনে চাপ সৃস্টিও করে। এসময় তিনি বাধা দিয়ে তার সাথে হিসেবে নিকেশ মেটাতে বলেন। কিন্তু আকবর কোন হিসেব বোঝাতে চান না।
পলি ইঞ্জিনিয়ারিং এর ম্যানেজার মিজানুর রহমান বলেন, তিন রবিবার তার কোম্পানীর প্রধান আকবর স্যারের সাথে গনপূর্তে যান। কিন্তু তার পার্টনা সুমন এর সাথে চেক নিয়ে ঝামেলা চলছিল। সেখানকার দেড় কোটি টাকা, ৫০ লাখ টাকা ও ৫০ লাখ টাকা মোট আড়াই লাখ টাকার ৪টি চেক নেয়ার জন্য আকবর স্যারের সাথে নির্বাহী প্রকৌশলীর সাথে কথা হয়। এক পর্যায়ে সেখানে ঠিকাদার সমুন এসে বাধা দেয়। তার লোকজন আমাকে ধাক্কা দেয় এবং ভয়ভিতি দেখায়।
এব্যপারে বরিশাল গনপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী জেরাল্ড অলিভার গুডা বলেছেন, দুই পক্ষের মধ্যে পার্টনারশিপ নিয়ে ঝামেলা হয়েছে। তিনি তার দপ্তরে একটি সভা করাকালে হট্টোগোল শুনতে পান। এক পর্যায়ে পুলিশকে ইনফর্ম করেছেন। পুলিশ এসে বহিরাগতদের বের করে দিয়েছেন। তিনি বলেন, আকবর ৪টি চেক নিতে এসেছিলেন। ওই চেকের জন্যই কিছুদিন আগে সুমনও ঘুরেছেন। কেন না তারা দুইজন পার্টনার।
এসব কারনে দুইজনকে সমঝোতা করে আসার জন্য চেকগুলো স্থগিত রেখেছিলেন। কিন্তু ক্ষমতা দেখিয়ে যদি কোন পক্ষ চেক নিতে চায় তা হতে দেয়া যাবে না বলে জানান নির্বাহী প্রকৌশলী।