কানাডার মতো তীব্র গরম আরও অনেক দেশে হওয়ার আশংকা

Spread the love

নাগরিক ডেস্ক : গত পাঁচ দিনে প্রচন্ড গরমে কানাডায় অন্তত ৪৮৬ জনের মৃত্যু ঘটেছে। দেশটির ব্রিটিশ কলম্বিয়া প্রদেশে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ভীষণভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। এর একমাত্র কারণ তীব্র তাপদাহ।
আশঙ্কার কথা, গত সপ্তাহের তুলনায় চলতি সপ্তাহে তাপমাত্রা ১৯৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। দেশটির ইতিহাসে সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড হয়েছে ব্রিটিশ কলম্বিয়ার লাইটন এলাকায় বুধবার (৩০ জুন) ৪৯.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস (১২১.২৮ ডিগ্রি ফারেনহাইট)। অথচ এমন তীব্র গরমের সঙ্গে অঞ্চলটি পরিচিত নয়।

বিজ্ঞানী এবং আবহাওয়াবিদদের মতে, পরিবেশে ব্যাপকভাবে গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমনের ফলে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে এ ধরনের উচ্চ তাপমাত্রার সৃষ্টি হয়। তবে বিশেষ করে ব্রিটিশ কলম্বিয়াজুড়ে তাপমাত্রার আকস্মিক বৃদ্ধি কেবল আবহাওয়া বা জলবায়ু পরিবর্তনের কারণেই নয়, ‘হিট ডোম’ সৃষ্টির কারণেও হয়েছে।

যখন গরম বাতাস উচ্চ তাপমাত্রায় আটকে পড়ে, তখন তা হিট ডোমে পরিণত হয়। এই বাতাস যখন ধীরে ধীরে নেমে আসে, তখন তাপমাত্রা আরও বাড়তে থাকে। বায়ুমণ্ডলে সাগরের উষ্ণ বায়ু আটকে পড়লে যে উচ্চ চাপ তৈরি হয় তাকে ‘হিট ডোম’ বলে। এটি ক্যালিফোর্নিয়া থেকে আর্টিক অঞ্চল পর্যন্ত প্রসারিত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

একই কারণে কানাডার পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলেও গত কয়েকদিন ধরে তাপমাত্রা রেকর্ড ছাড়িয়েছে। আগামী সপ্তাহের শুরুতে কানাডার উচ্চ তাপমাত্রা কমে আসবে বলে প্রত্যাশা আবহাওয়াবিদদের।
বিজ্ঞানীদের মতে, এরকম উচ্চ তাপমাত্রা জলবায়ু সঙ্কটের সুস্পষ্ট লক্ষণ। একই রকমের চরম তাপের ঘটনা ভবিষ্যতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আরও ঘন ঘন ঘটবে বলে সতর্ক করেছেন তারা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *