সরকার হটানোর আন্দোলনের ডাক মীর্জা ফখরুলের

Spread the love

নাগরিক রিপোর্ট : সরকার হটানোর আন্দোলনের জন্য আগাম প্রস্তুতির ডাক দিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, বাংলাদেশকে যদি আমরা মুক্ত করতে না পারি, আওয়ামী লীগকে যদি সরাতে না পারি তাহলে আমরা খালেদা জিয়াকেও মুক্ত করতে পারব না। আমরা হাজার হাজার মানুষ মিথ্যা মামলা নিয়ে চেপে বসে আছি তা থেকেও মুক্ত হতে পারবো না। সেজন্য আমি আগাম আন্দোলনের প্রস্তুতির আহবান জানাচ্ছি।

গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর গোরানে ফেদ্ধন্ডস কনভেনশন সেন্টারে ঢাকা-১০ আসনের বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের উদ্যোগে ‘করোনা হেল্প সেল’ এর উদ্ধোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, আমাদেরকে রাস্লায় নামতে হবে, রাস্লায় নেমে আসতে হবে, সোচ্চার হতে হবে এবং আন্দোলনের মধ্য দিয়ে এই ভয়াবহ সরকারকে পরাজিত করতে হবে। তাদেরকে বাধ্য করতে হবে- নির্বাচনকালীন একটা নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনেরে পরিচালনায় সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে সরকার গঠন করতে হবে। এতে জনগণ ভোট দিয়ে তার প্রতিনিধিকে নির্বাচিত করতে পারবে।

তিনি বলেন, এখন আমাদেরকে উঠে দাঁড়াতে হবে। আমরা ১০/১২ বছর ধরে সংগ্রাম করছি, লড়াই করছি। আমাদের ৩৫ লক্ষ মানুষের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা হয়েছে, আমাদের ৫‘শ বেশি নেতাকর্মী গুম হয়ে গেছে, হাজারের উপর খুন হয়েছে, আমাদের অনেককে হাটুতে গুলি করে পঙ্গু করে দিয়েছে। সুতরাং আন্দোলন ছাড়া আমাদের কোনো বিকল্প নেই। বিশেষ করে তরুণ, যুবক যারা আছেন তাদেরকে জেগে উঠতে হবে। তরুণদের মাধ্যমে, তাদের নেতৃত্বে, তাদের বীরত্ব ও তাদের সাহসিকতার মধ্য দিয়েই পরিবর্তনে আসে সবসময়। এখন কাজ করতে হবে তরুণ যুবকদের।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, গণটিকার কথা বলে তারা গণসংক্রমণ বাড়িয়েছে। ঠিক মতো টিকা দিতে পারে নাই। এখন টিকা বাজারে বিক্রি হচ্ছে। আপনারা মানুষকে এককথা বলবেন আর কাজ করবেন আরেকরকম। এভাবেই আপনারা জনগণের সাথে প্রতারণা করছেন। অপহরণের সাথে জড়িত থাকার আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ঘটনার প্রসঙ্গ টেনে বিএনপি মহাসচিব বলেন, অপহরণ করার দায়ে দিনাজপুরে একজন এএসপিসহ ৫ জন পুলিশ কর্মকর্তা গ্রেফতার হয়েছে। যাবে কোথায় মানুষ। পুলিশের অফিসাররা যদি অপহরণ করে, ৫০ লক্ষ টাকা চায় তাহলে দেশের মানুষ যাবে কার কাছে?

তিনি বলেন, এই সরকার সব ক্ষেত্রে দলীয়করণ করেছে। যেটাকে আমি বলে তারা মুখে গণতšেস্লর কথা বলে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করেছে। সাংবাদিকরা নিজেরা কিছু লিখতে পারেন না, সাহস করে লেখার শক্তি নাই। ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টসহ বিভিন্ন আইন দিয়ে গণমাধ্যমের মুখ বন্ধ করে দিয়েছে। এটা কোনোভাবে একটা গণতাšিস্লক দেশ হতে পারে না, এটা সম্পহৃর্ণ ভাবে একটা কর্তৃত্ববাদী ফ্যাসিবাদী দেশে পরিণত হয়েছে। এখন আমাদেরকে উঠে দাঁড়াতে হবে। স

স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, এই করোনা নিয়ে দেশে রাজনীতি হচ্ছে, এই করোনা নিয়ে ব্যবসায়িক রাজনীতি হচ্ছে, রাষ্ট্রীয় রাজনীতি হচ্ছে, জাতীয় রাজনীতি হচ্ছে। আমরা করোনা নিয়ে কোনো রাজনীতি করতে চাই না। সবাইকে নিয়ে এক সঙ্গে কাজ করে এই করোনাকে প্রতিহত করতে হবে।

জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের সভানেত্রী আফরোজা আব্বাসের সভাপতিত্বে ও খিলগাঁও থানা সভাপতি ইউনুস মৃধার পরিচালনায় আলোচনা সভায় বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম, মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *