তালতলীতে ১২৩ অবৈধ স্থাপনা গুড়িয়ে দিয়েছে প্রশাসন

Spread the love

আমতলী প্রতিনিধি:
তালতলী উপজেলার কচুপাত্রা বাজার সংলগ্ন কচুপাত্রা খালের অবৈধভাবে গড়ে তোলা ১২৩ স্থাপনা গুড়িয়ে দিয়েছে বরগুনা জেলা প্রশাসন। বুধবার অবৈধভাবে গড়ে তোলা স্থাপনাগুলো গুড়িয়ে দেয়া হয়।

জানাগেছে, বরগুনার তালতলী উপজেলার কচুপাত্রা বাজার সংলগ্ন কচুপাত্রা খালের পাড়ে গত ২০ বছর পুর্বে সাপ্তাহিক বাজার স্থাপন করা হয়। প্রতি রবিবার ওই স্থানে বাজার বসে। ওই বাজারে হাজার হাজার লোকের সমাগম হয়। গত ৫ বছর পুর্বে ওই হাটের পাশে কচুপাত্রা খালের দু’পাড় স্থানীয় প্রভাবশালীরা দখল করে নেয়। খালের দু’পাড়ে দু’শতাধিক অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করেছেন তারা। পাকা স্থাপনা নির্মাণ করায় খাল সংকুচিত হয়ে নাব্যতা কমে খাল ভরাট হয়ে যাচ্ছে। নাব্যতা কমে যাওয়ায় খালে নৌকা চলাচল ব্যবহ হচ্ছে।

খালটি এখন মরা খালে পরিণত হয়েছে। এতে নিত্য প্রয়োজনীয় পন্য বাজারে নিয়ে আসতে কৃষকদের সমস্যা হচ্ছে। অভিযোগ রয়েছে একটি প্রভাবশালী মহল খাল দখলের নামে মোটার অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়ে স্থাপনা নির্মাণে সহযোগীতা করছে। এ খাল দখল মুক্ত করার দাবী জানান স্থানীয়রা। এ খালের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করতে গত বছরের ১৬ নভেম্বর বরগুনা জেলা প্রশাসনের পক্ষে নোটিশ দেয়। ওই নোটিশে উল্লেখ আছে নোটিশ প্রাপ্তির ৭ দিনের মধ্যে খালের পাড়ে গড়ে ওঠা ১২৩ টি অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নেয়ার।

কিন্তু স্থানীয় প্রভাবশালীরা জেলা প্রশাসনের নোটিশের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে অবৈধভাবে দখল টিকিয়ে রাখতে প্রতিরোধ কমিটি গঠন করে। বুধবার বেলা ১১ টার দিকে বরগুনা জেলা প্রশাসনের পক্ষে তালতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ কাওসার হোসেন ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ তানভীর আহম্মেদ উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেন।

বুধবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, কচুপাত্রা খালের ব্রীজের দু’পাশে লাল পতাকা টানিয়ে অবৈধ স্থাপনা প্রশাসনের লোকজন দাড়িয়ে বেকু (এসকেভেটর) মেশিন দিয়ে গুড়িয়ে দিচ্ছেন। আবার কিছু স্থাপনা স্থানীয়রা ভেঙ্গে নিচ্ছেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন বলেন, কিছু স্বার্থান্বেসী লোকের কারনে ১২৩ টি অবৈধ স্থাপনা গুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। তারা প্রশাসনের নাম করে টাকা আদায় না করলে এমন অবস্থা হতো না। তারা আরো বলেন, প্রশাসন খালের দখল মুক্ত করায় খালটি প্রাণ ফিরে পেয়েছে।

তালতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ কাওসার হোসেন বলেন, উচ্ছেদের আগে অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নিতে নোটিশ দেয়া হয়েছে। কিন্তু দখলবাজরা অবৈধভাবে গড়ে তোলা স্থাপনা সরিয়ে নেয়নি। তাই জেলা প্রশাসনের নির্দেশে খাল দখল মুক্ত করতে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *