নাগরিক ডেস্ক:
শিশু ও অভিভাবকদের অতিরিক্ত চাপ কমাতে নতুন শিক্ষাক্রম প্রণয়ন করেছে সরকার। নতুন শিক্ষাক্রম অনুযায়ী, তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত শিশুদের কোনো পরীক্ষা নেওয়া যাবে না। তবে প্রাথমিক সমাপনী ও অষ্টম শ্রেণিতে সনদ রাখার চিন্তাভাবনা রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সোমবার নতুন জাতীয় শিক্ষাক্রম অনুমোদন করেছেন। এরপর সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানান শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, নতুন শিক্ষাক্রম অনুযায়ী দশম ও দ্বাদশে পাবলিক পরীক্ষা হবে। শুধু দশম শ্রেণির পাঠ্যসূচি অনুযায়ী হবে এসএসসি পরীক্ষা। আর একাদশের পরীক্ষা ও দ্বাদশের পাবলিক পরীক্ষা মিলিয়ে এইচএসসির ফল ঘোষণা করা হবে।
পরিমার্জিত শিক্ষাক্রমের পাইলটিং চলবে ২০২২ সালে। আর শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন শুরু হবে ২০২৩ সাল থেকে। ২০২৫ সালের মধ্যে পর্যায়ক্রমে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন করা হবে।
নতুন শিক্ষাক্রম অনুযায়ী পঞ্চম ও অষ্টমে শ্রেণি পরীক্ষা হবে জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বিভিন্ন স্তরে মূল্যায়নের ভিত্তিতে যেখানে যেখানে মূল্যায়ন সনদ দেওয়া প্রয়োজন আমরা তা দেব। তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত কোনো ধরনের পরীক্ষা নেই। এরপর থেকে সব ক্লাসেই সমাপনী পরীক্ষা হবে।
দশম ও দ্বাদশে পাবলিক পরীক্ষা আছে। সমাপনী পরীক্ষায় কিছুটা মূল্যায়ন, কিছুটা ধারাবাহিক মূল্যায়ন ও কিছুটা সামষ্টিক মূল্যায়ন (পরীক্ষা) করা হবে।
পঞ্চমেও হয়তো সনদ দিয়ে দেব। সনদ দেওয়ার জন্য পাবলিক পরীক্ষার দরকার নেই। প্রতিটি ক্লাসেই মূল্যায়ন হবে। কিছু আসবে সামষ্টিক মূল্যায়ন (পরীক্ষা) থেকে, কিছু আসবে ধারাবাহিক মূল্যায়ন থেকে।