নাগরিক রিপোর্ট : মাধ্যমিক পরীক্ষার (এসএসসি) ফরম পুরনে অতিরিক্ত টাকা নেয়ার অভিযোগ ওঠেছে বরিশাল বোর্ডের আওতাধীন একুশটি বিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে। নগরীর উপকন্ঠ সদর উপজেলার চরবাড়িয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমানিত হওয়ায় শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে নেয়া অতিরিক্ত টাকা ফেরত দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। অপর ২০ বিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগের তদন্ত চলছে বলে নিশ্চিত করেছেন বরিশাল শিক্ষা বোর্ডের দায়িত্বশীল সুত্র।
জানা গেছে, চরবাড়িয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে অতিরিক্ত টাকা নেয়ার অভিযোগ তদন্ত করেন পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অরুন কুমার গাইন।
তিনি বলেন, ২০২১ সালের এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের ফরম পুরনে বিজ্ঞান বিভাগে ১ হাজার ৯৭০ টাকা এবং ব্যবসায় শিক্ষা ও মানবিক বিভাগে ১ হাজার ৮৫০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। তবে কিছু সংখ্যক বিদ্যালয়ে অতিরিক্ত টাকা নেয়ার অভিযোগ পেয়েছেন তারা। ওই বিদ্যালয়গুলোতে টাকা গ্রহনের বিপরীতে শিক্ষার্থীদের রশিদও দেয়া হয়নি।
পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক বলেন, চরবাড়িয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় প্রধান শিক্ষককে অতিরিক্তি নেয়া টাকা ফেরত এবং শিক্ষার্থীদের রশিদ প্রদানের নির্দেশ দিয়েছেন। অপর বিদ্যালয়গুলোর বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে। তবে তিনি এ বিদ্যালয়গুলোর নাম জানাতে অস্বীকৃতি জানান।
চরবাড়িয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এক পরীক্ষার্থীর অভিভাবক জাকির হোসেন জানান, তার মেয়ে মানবিক বিভাগ থেকে এ বছর এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহন করবে। ফরম পুরনে তার কাছ থেকে ২ হাজার টাকা নেয়া হয়েছে। রশিদ চাইলে প্রধান শিক্ষক উল্টো ধমক দেন। পরে অভিবাবকরা মিলে শিক্ষা বোর্ডে অভিযোগ দিয়েছেন।
চরবাড়িয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির শিক্ষক প্রতিনিধি জাহিদ হোসেন জানান, এ বিদ্যালয়ে কখনোই রশিদ দিয়ে টাকা আদায় হয়না। প্রধান শিক্ষক এ নীতিমালা তৈরি করেছেন। তাই কোন শিক্ষার্থীকে রশিদ দেয়া হয়নি।
প্রধান শিক্ষক আয়নাল হোসেন বলেন, বোর্ডের নির্ধারিত ফি’র চেয়ে সামান্য বেশী অর্থাৎ প্রত্যেক পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে দুই হাজার করে টাকা নেয়া হয়েছে। তাই কাউকে রশিদ দেয়া হয়নি। বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক রশিদ দেয়ার নির্দেশ দেয়ায় দুই-একদিনের মধ্যে সকল শিক্ষার্থীর রশিদ পৌছে দেয়া হবে।##
২০২১-০৯-১২