আইনজীবীদের সকালে আদালত বর্জন বিকালে সমঝোতা

Spread the love

নাগরিক রিপোর্ট : বিচারকের বিরুদ্ধে এক আইনজীবীকে অপদস্থ করার অভিযোগে বরিশাল নারী ও শিশু নির্যাতন অপরাধ দমন ট্রাইবুনাল বর্জন করেছিলেন আইজীবীরা। সোমবার বেলা ১১টার দিকে এ ঘটনার পর ওই ট্রাইবুনালের কার্যক্রমে অংশগ্রহন করেননি।
জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি সৈয়দ গোলাম মাসউদ বাবলু এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আইনজীবী মজিবর রহমান দুলালকে আদালত কক্ষ থেকে বের করে দেয়ার প্রতিবাদে বেলা ১১টার পর আইনজীবীরা নারী ও শিশু নির্যাতন অপরাধ দমন ট্রাইবুনালের কার্যক্রমে অংশ নেননি। জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারন সম্পাদক রফিকুল ইসলাম খোকন জানান, ট্রাইবুনালের বিচারক মো, আবু শামীম আজাদের সঙ্গে সন্তোষজনক আলোচনার পর বিকাল ৪টায় তারা বর্জনের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করেছেন।
ঘটনার সময় ট্রাইবুনালে উপস্থিত একাধিক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, বিচারিক কার্যক্রম চলাকালে মজিবর রহমান দুলাল নামক এক আইনজীবী একটি নালিশী দরখাস্ত নিয়ে আদালত কক্ষে প্রবেশ করেন। এসময় বিচারক আবু শামীম আজাদ তার প্রবেশের কারন জানতে চান। পরে আসতে বলে অ্যাডভোকেট দুলালকে আদালত কক্ষ ত্যাগ করতে বলেন বিচারক। অ্যাডভোকেট দুলাল আদালত কক্ষের বাইরে এসে আবার ভেতরে উকি দিলে বিচারক রাগান্বিত হয়ে এজলাস ত্যাগ করে খাস কামরায় চলে যান। এসময় ওই আদালতে উপস্থিত জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারন সম্পাদক রফিকুল ইসলাম খোকনসহ অন্যান্য আইনজীবীরা আদালত ত্যাগ করে ওই ট্রাইবুনাল বর্জনের ঘোষণা দেন।
নারী ও শিশু নির্যাতন অপরাধ দমন ট্রাইবুনালের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (বিশেষ পিপি) ফয়েজুল হক বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য ওই ট্রাইবুনাল কক্ষে ৩ জনের বেশী আইনজীবী প্রবেশ করতে দেয়া হয়না। যে মামলার কার্যক্রম চলে সে মামলার সংশ্লিষ্ট আইনজীবীরা আদালতের মধ্যে থাকেন, অন্যরা বাইরে বারান্দায় অপেক্ষা করেন। আরেকটি মামলার কার্যক্রম চলাকালে অ্যাডভোকেট মজিবর রহমান দুলাল আদালত কক্ষে প্রবেশ করলে বিচারক তাকে পরে আসতে বলেন। পিপি ফয়েজ বলেন, বিচারক আবু শামীম আজাদ এজলাস ত্যাগ করলেও পরে আবার ফিরে আসেন। তবে পরবর্তীতে মামলার কোন কার্যক্রমে আইনজীবীরা অংশগ্রহন করেননি। বিষয়টি ভুল বোঝাবুঝি বলে জানান পিপি ফয়েজ।##

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *