নাগরিক রিপোর্ট : গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাষ্ট্রি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, ২০১৮ সালে দেশে কোন সুষ্ঠু নির্বাচন হয়নি। আগের রাতে ভোট ডাকাতি হয়েছে। ভোট ডাকাতরাই দেশের বড় বড় জঙ্গি। তাদের থেকে বড় জঙ্গি আর কেউ নয়। যাদের দাড়ি আছে, টুপি পড়ে তাদের জঙ্গি বলি। এটা অন্যায়, ভাঁওতাবাজি। এই ভাঁওতাবাজি বন্ধের জন্য আমাদেরকে বুদ্ধিমান হতে হবে।
গতকাল শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘সন্ত্রাস ও উগ্রবাদ নয়: সম্প্রীতি, ইনসাফ ও সহনশীলতাই ইসলাম’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। আলোচনা সভা আয়োজন করে, বাংলাদেশ জাতীয় মুফাসসির পরিষদ।
ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, মুক্তিযুদ্ধের অঙ্গিকার ছিল গণতন্ত্র সাম্য এবং জনগণের অধিকার। মুক্তিযুদ্ধে সবাই ইসলামের কথা বলেছি। মানুষের কথা বলেছি, ন্যায়ের কথায় বলেছি। আজ আমাদের মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ ভূলুন্ঠিত। সেই চেতনা ফিরিয়ে আনতে আন্দোলন করতে হবে, সংগ্রাম করতে হবে।
তিনি বলেন, ন্যায় প্রতিষ্ঠার প্রক্রিয়ার নামই হলো জিহাদ। অন্যায়ের বিরুদ্ধে সংগ্রামই জিহাদ। অধিকার বঞ্চিত মানুষের ন্যায়ের অধিকার প্রতিষ্ঠা করাই জিহাদ। জিহাদ বললে আমাদের লজ্জা পাওয়ার কিছু নাই। ভাবতে হবে আমি ন্যায়ের পক্ষে আছি। মানুষের উপর অত্যাচারের প্রতিবাদে ইসলাম একটি বিজ্ঞানসম্মত ধর্ম।
গণস্বাস্থ্যের প্রতিষ্ঠাতা বলেন, আমি নামাজ পড়ি না বলে আমাকে মুরতাদ বলার অধিকার আপনাদের নাই। এটা আল্লাহ সিদ্ধান্ত নিবেন। নামাজ পড়ি না বলে আমাকে বেত মারার অধিকার আপনার নাই, খোদা বিচার করবেন। আজকে আলেমদের নামের কেনো বলৎকারসহ নানান অভিযোগ আসবে? অন্যরা করলে দোষ হয় না, কিন্তু আপনারা করলে দোষ হবে। কারণ মানুষ আপনাদের সম্মান করে। আপনারা ছোট দোষ করলে দোষটা বড় হয়ে যায়।
তালেবানদের সাহায্য করতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, তালেবানরা মুক্তিযোদ্ধা। তারা ২০ বছর যুদ্ধ করে স্বাধীনতা অর্জন করেছে। তাদের সালাম করতে হবে। সেখানে খাদ্য সংকটের কথা উঠেছে। এখানে ১৬ কোটি মানুষ, তালেবানদের কয়েক বছর খাওয়াতে পারেন। উপস্থিত সবার উদ্দেশ্য আফগানিস্লানে দ্রুত খাদ্য সহায়তা পাঠানোর আহ্বান জানান জাফরুল্লাহ চৌধুরী।
আল্লামা সাইয়েদ কামাল উদ্দিন জাফরীর সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য রাখেন কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল ( অব.) সৈয়দ মোহাম্মদ ইব্রাহিম, ড. মাওলানা এনায়েতুল্লাহ আব্বাসী, মাওলানা মাহমুদুল হাসান ফেরদৌস (পীর সাহেব), মুফতি একেএম ফারুক সিদ্দিকী, জাতীয় ইমাম সমিতি সভাপতি কাজী আবু হুরাইরাহ প্রমুখ।