জয়ে সাফ শুরু

Spread the love

নাগরিক ডেস্ক:
ম্যাচের শুরু থেকে বাংলাদেশ বাংলাদেশ প্রতিধ্বনি আর ভুভুজেলায় মুখরিত মালে জাতীয় স্টেডিয়ামের গ্যালারি। গ্যালারিতে থাকা বাংলাদেশ সমর্থকদের হতাশ করেনি বাংলাদেশ দল। শ্রীলঙ্কাকে ১-০ গোলে হারিয়ে সাফের শুভসূচনা করেছে জামাল ভূঁইয়ার দল।

দেশে থাকতেই সাফে বাংলাদেশকে ৪-৩-৩ ফরমেশনে খেলানোর কথা বলে গিয়েছিলেন কোচ অস্কার ব্রুজোন। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ফর্মেশনটা ঠিক রেখে চার ডিফেন্ডার, তিন মিডফিল্ডার ও তিন ফরোয়ার্ডকে নিয়ে দল সাজান অস্কার। তপু বর্মণ, ইয়াসিন আরাফাত, তারিক কাজী রায়হান ও বিশ্বনাথ ঘোষ ছিলেন বাংলাদেশের রক্ষণে। মাঝমাঠে অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়ার সঙ্গে বিপলু আহমেদ ও মোহাম্মদ ইব্রাহিম। স্ট্রাইকার হিসেবে সুমন রেজার দুই পাশে রাকিব হোসেন ও জুয়েল রানা।

প্রথমার্ধে বল নিয়ন্ত্রণে লঙ্কানদের বিপক্ষে টেক্কা দিলেও আক্রমণে বারবার খেই হারিয়েছেন বাংলাদেশের ফুটবলাররা। ৬৪ শতাংশ বলের দখল থাকা সত্ত্বেও প্রতিপক্ষের কড়া রক্ষণে গোলের সুযোগ তৈরি করতে ব্যর্থ হোন সুমন রেজা-জুয়েল রানরা। বাম প্রান্ত ধরে কয়েকবার আক্রমণে উঠেছেন রাকিব হোসেন, দিয়েছেন বলের জোগানও। তবে বাকি সতীর্থরা সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি প্রথম ৪৫ মিনিটে। প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে ইয়াসিন আরাফাতের লম্বা ক্রসে দারুণ এক হেড নিয়েছিলেন তপু বর্মণ। তবে লঙ্কান গোলরক্ষক সুজন পেরেরার দৃঢ়তায় গোল বঞ্চিত হয় বাংলাদেশ।

প্রথমার্ধে গোল না পেলেও তবু মাঝমাঠে দারুণ আধিপত্য দেখিয়েছিল বাংলাদেশ। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে যেন আরও ছন্নছাড়া জামাল ভুঁইয়া-জুয়েল রানারা। বাংলাদেশ যখন নিজেদের গুছিয়ে আক্রমণের ওঠার চেষ্টা করছেন তখনই নিজেদের বিপদ ডেকে আনে শ্রীলঙ্কা।

ডি-বক্সে ইব্রাহিমকে ঠেকাতে গিয়ে ৫৪ মিনিটে হ্যান্ডবল করে বসেন লঙ্কান ডিফেন্ডার ডাকসন পুসলাস। পেনাল্টির বাঁশি বাজান সিরিয়ান রেফারি। হলুদ কার্ড দেখান পুসলাসকে। দুই হলুদ কার্ড দেখে পুসলাস মাঠ ছাড়লে ১০ জনের দল হয়ে পড়ে শ্রীলঙ্কা। ৫৬ মিনিটে স্পট কিকে বল জালে জড়িয়ে গ্যালারিতে আনন্দের উপলক্ষ এনে দেন তপু। জাতীয় দলের হয়ে এটি তপুর পঞ্চম গোল। ১-০ গোলে পিছিয়ে পড়ে শ্রীলঙ্কা গোলশোধে মরিয়া হয়ে উঠে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *