নাগরিক রিপোর্ট:
বরিশাল নগরীর পশ্চিমাংশ ২৬ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের অভ্যন্তরীন বিরোধের জের ধরে ৩ ছাত্রলীগ কর্মীকে কুপিয়ে জখম করেছেন ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের এক নেতা। মারধর করেছেন এক পরিবহন ঠিকাদারকেও। রোববার বেলা ১১টায় ওয়ার্ডের কালিজিরা বাজারে এ ঘটনা ঘটেছে । আহত ছাত্রলীগ কর্মী রাজিব মল্লিক, রায়হান মুন্সী ও জুবায়েরকে শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয় সুত্র জানিয়েছে, ২৬ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি হুমায়ুন হাওলাদারের সঙ্গে সম্প্রতি বিরোধ সৃষ্টি হয় ওয়ার্ড সাধারন সম্পাদক সোলায়মান বাপ্পির। সুত্রমতে, সোলায়মান বাপ্পির মদদে তার কর্মী সমর্থকরা কালিজিরা বাজারের ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চাঁদাবাজী করে আসছে।
সভাপতি হুমায়ুন হাওলাদারের সমর্থকরা এর প্রতিবাদ জানালে সোলায়মান বাপ্পির সঙ্গে বিরোধের সৃষ্টি হয়। ওই বিরোধের কজেরে গত ২৮ সেপ্টেম্বর সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক আলাদাভাবে মিছিল নিয়ে অংশ নেন মহানগর আওয়ামীলীগ আয়োজিত প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিনের অনুষ্ঠানে। সুত্র জানায়, সভাপতির মিছিলে লোকজন বেশী হওয়ায় সাধারন সম্পাদক সোলায়মান বাপ্পি ও তার সমর্থকরা আরো ক্ষিপ্ত হন।
একাধিক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, রোববার বেলা ১১টার দিকে ২৬ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ কার্যালয়ের পাশে দাঁড়ানো ছিলেন ছাত্রলীগ কর্মী রায়হান মুন্সী, রাজিব মল্লিক ও জুবায়ের। এসময় সাধারন সম্পাদক সোলায়মান বাপ্পি তার সঙ্গে থাকা ধারালো অস্ত্র দিয়ে ওই তিনজনকে কুপিয়ে জখম করেন।
আহত ছাত্রলীগ কর্মী রায়হান মুন্সী বলেন, চাঁদা না দেয়ায় সকালে পরিবহন ঠিকাদার মনিরকে মারধর করেছেন সাধারন সম্পাদক ও তার সমর্থকরা। তারা মারধরের প্রতিবাদ করায় ক্ষিপ্ত হয়ে সোলায়মান বাপ্পি হামলা চালিয়েছেন। রায়হানের কপাল ও হাতে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয়েছে। অপর ছাত্রলীগ কর্মী রাজিব মল্লিক বলেন, কিছু বুঝে ওঠার আগেই সম্পাদক আমাদের কুপিয়ে জখম করেন।
২৬ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি হুমায়ুন হাওলাদার বলেন, সাধারন সম্পাদক সোলায়মান বেপরোয়া হয়ে পড়েছেন। মহানগর আওয়ামীলীগ সভাপতি বিষয়টি দেখবেন বলে জানিয়েছেন। তাই থানায় অভিযোগ দেননি।
তবে সব অভিযোগ অস্বীকার করে সাধারন সম্পাদক সোলায়মান বাপ্পি বলেন, তাদের মধ্যে কোন বিরোধ নেই। পারিবারিকভাবে স্বচ্ছল হওয়ায় তার চাঁদাবাজীর প্রয়োজন হয়না। প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিনে সভাপতি কেনো আলাদা মিছিল নিয়ে গেছেন তা তিনিই ভাল বলতে পারবেন।
এব্যাপারে বরিশাল কোতোয়ালী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. নুুরুল ইসলাম বলেন, ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের ঘটনা শুনেছেন। কয়েকজন হাসপাতালে আছে। এখন পর্যন্ত কোনপক্ষ থানায় অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নিবেন।