পুনিতের জন্য কাঁদবে না এমনটা নেই

Spread the love

নাগরিক ডেস্ক:
ভারতে কন্নড় ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির অন্যতম সুপারস্টার মারা গেলেন। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হলো সুপারস্টার পুনিত রাজকুমারের। আজ দুপুর ১২টায় অচেতন অবস্থায় বেঙ্গালুরুর একটি বেসরকারি হাসপাতাতে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। সেখানে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

আজই তাঁর বড় ভাই শিবা রাজকুমারের ‘বাজরাঙ্গি ২’ মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল। সকালবেলা উঠেই টুইটারে পুনিত উইশ করেছিলেন। এটাই পুনিতের শেষ টুইট।

ভালোবেসে কর্নাটকের মানুষ পুনিতকে ‘আপ্পু’ বলে সম্বোধন করে। ২০০২ সালে ‘আপ্পু’ নামে একটি রোমান্টিক-অ্যাকশন সিনেমায় নাম ভূমিকায় অভিনয় করেন পুনিত। সিনেমাটি ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছিল। এরপর পুনিতের নামই হয়ে যায় আপ্পু।

কন্নড় চলচ্চিত্রে কিংবদন্তি ব্যক্তিত্ব রাজকুমারের ছোট ছেলে পুনিত। মানুষ তাঁর বাবাকে দেবতাতুল্য মনে করতো। রাজকুমার ভারতীয় ছবির ইতিহাসে অন্যতম সেরা অভিনেতাদের একজন। পুনিত তাঁর বাবা-মায়ের কনিষ্ঠ ছেলে।

একদম শিশু বয়সেই বাবার সঙ্গে ছবিতে কাজ করা শুরু করেন। ছয় মাস বয়সেই তাঁকে ছবিতে দেখা যায়। এরপর নিয়মিত সিনেমায় অভিনয় করেন। শৈশবেই মেলে জাতীয় পুরস্কারসহ একাধিক সম্মাননা। ত্রিশটির বেশি কন্নড় ছবিতে অভিনয় করেছেন। ১৯৮৫ সালে শিশুশিল্পী হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র সম্মানে ভূষিত হয়েছিলেন পুনিত, ‘বেত্তাধা হুভু’ ছবির জন্য। ২০০২ সালে ‘আপ্পু’ ছবির সঙ্গে লিড হিরো হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন পুনিত। পরবর্তী সময়ে ‘আকাশ’,‘আরাসু’, ‘মিলনা’, ‘ভামসি’, ‘জ্যাকি’, ‘পরমাত্মা’, ‘পাওয়ার’-এর মতো সুপারহিট কন্নড় ছবি দর্শকদের উপহার দিয়েছেন তিনি।

কন্নড় সিনেমায় বাবার পর পুনিতই একমাত্র সুপারস্টার ছিলেন যার ৬-৬০ বছর বয়সীদের মধ্যে প্রচুর ভক্ত ছিল। বাবার মতই মানুষকে ভালোবাসতেন। খুব সাদাসিধা জীবনযাপন করতেন এই অভিনেতা।

দক্ষিণের অন্যতম সেরা ড্যান্সার ও ফাইট স্টান্ট স্পেশালিস্ট পুনিত। তাঁর বডি ফিটনেস ছিল অ্যাথলেটদের মতো। ৪৬ বছরেও অ্যাকশন দৃশ্যে নিজে স্টান্ট করতেন। মার্শাল আর্ট, দেশীয় যোগব্যায়াম ও কলাকৌশলে একদম সিদ্ধহস্ত ছিলেন। এত ফিট মানুষটি ব্যায়ামাগারেই হার্ট আ্যাটাক করবেন কে ভেবেছিল!

কন্নড় সিনেমার ইতিহাসে শুধু এই জেনারেশন না অল টাইম হিসেবেও বাবা রাজকুমারের পরেই সবচেয়ে বেশি হিট ছবি উপহার দিয়েছেন পুনিত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *