‘আমরা নষ্ট নেতৃত্বের মধ্যে পড়ে গেছি’-মীর্জা ফখরুল

Spread the love

নাগরিক ডেস্ক : বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, রাজার দোষে রাজ্য নষ্ট, প্রজা পায় কষ্ট। আমরা একটা নষ্ট নেতৃত্বের মধ্যে পড়ে গেছি। এখানে রাজা এমন হয়েছেন যে, সাধারণ মানুষের দুঃখ কষ্টগুলো বোঝার শক্তিও তাদের নেই। এই দেশে এখন কোথাও শাšিø খুঁজে পাওয়া যাবে না।

গতকাল শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবে জাতীয় গণতাšিস্লক পার্টি-জাগপা’র একাংশের উদ্যোগে ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে ‘দেশের স্বাধীনতা সুরক্ষা ও গণতšস্ল প্রতিষ্ঠায় বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের অবদান’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আমেরিকার গণতšস্ল সভায় বাংলাদেশকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। এটা অনেক বড় দু:খ-লজ্জার বিষয়। যেখানে ১০০টা দেশকে আমšস্লণ জানানো হয়েছে। যে গণতšেস্লর জন্য আমরা স্বাধীনতার যুদ্ধ করেছি, স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন করেছি সেই দেশ আজ ১৪ বছর ধরে অগণতাšিস্লক দেশ হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। যেখানে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার মাধ্যমে সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য একটি মিমাংশিত নির্বাচনী পদ্ধতি ছিলো সেটাকে ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। এর চেয়ে লজ্জার ব্যাপার, এর চেয়ে দুর্ভাগ্যের ব্যাপার আর কিছু হয় না।

তিনি বলেন, এই সরকার এতোটাই প্রতিহিংসাপরায়ন যে অসুস্থ খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে দেয়নি। আওয়ামী লীগের এই প্রতিহিংসার আগুনে গোটা দেশকে জ্বালিয়ে পুঁড়িয়ে ছার-খার করে দিচ্ছে। এই অবস্থা থেকে উত্তরণে সরকারের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে রুখে দাঁড়াতে হবে। এজন্য সকল রাজনৈতিক দলের জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলার আহবান জানান বিএনপি মহাসচিব।

ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে সহিংসতার জন্য সরকারকেই অভিযুক্ত করে মির্জা ফখরুল বলেন, বড় বড় রাম-দা, ছুরি নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন হচ্ছে। আর মšস্লীরা বলছেন, এটা তেমন কিছু না, একটু সাধারণ ঝগড়া-ঝাটি। আসলে তারা অত্যšø সচেতনভাবে, পরিকল্পিতভাবে বাংলাদেশ থেকে গণতšস্লকে নির্বাসিত করেছে, বাংলাদেশ থেকে সমস্ল সুস্থ চিšøা-ভাবনা, মুক্তচিšøা- এগুলোকে নির্বাসিত করেছে এবং রাজনীতিকে ধবংস করেছে। উদ্দেশ্য একটাই- এখানে কেউ রাজনীতি করবে না, তারা ক্ষমতা দখল করে বসে থাকবে।

প্রধান নির্বাচন কমিশনারের লজ্জা-শরম বলতে কিছু নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই বাংলাদেশে নির্বাচন ব্যবস্থাকে তিনি ধবংস করলেন এবং নির্বাচনের যে স্বপ্ন দেখি সেটা সম্পহৃর্ণ ধুলিসাত করে দিয়েছেন।

রোহিঙ্গা প্রসঙ্গ নিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, রোহিঙ্গ নিয়ে সরকারের উদ্দেশ্য অন্যরকম। তারা রোহিঙ্গাদের জন্য ভাসানচরে একটা রাজকীয় অবস্থান তৈরি করে দিয়েছে। এটাকে একটা পারমানেন্ট ইস্যু হিসেবে এখান থেকে ফায়দা লুটতে চায়। এখন পর্যšø আওয়ামী লীগের সরকার রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠানে কোনো ফলোপ্রসু কোনো কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহন করেনি।

এতো বেশি ভারতের সাথে বন্ধুত্ব সরকারের পররাষ্ট্র মšস্লী বলেন, স্বামী-¯স্লীর সম্পর্ক। তাহলে রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধান করতে পারছেন না কেনো। রেইনট্রি ধর্ষণ মামলার রায়ে ‘সমগ্র নারী জাতিকে অপমান করা হয়েছে’ বলে ক্ষোভ প্রকাশ করে মির্জা ফখরুল বলেন, এ মামলায় সবাইকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে। কারণটা হচ্ছে, যারা গ্রেফতার হয়েছে তারা খুব প্রভাবশালী। এজন্য সমস্ল নারী জাতিকে অপমান করে খালাস দেয়া হয়েছে। আমি এর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি, হতাশ হয়েছি, ক্ষুব্ধ হয়েছি। এই ধরনের রায় আমরা মেনে নিতে পারি না।  সাবেক প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহাকে বন্দুক দেখিয়ে দেশ থেকে বের করে দিলেন।

জাগপার সভাপতি খন্দকার লুতফুর রহমানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক এসএম শাহাদাতের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর) মোস্লফা জামাল হায়দার, বিএনপির আবদুস সালাম, খায়রুল কবির খোকন, এনপিপির ফরিদুজ্জামান ফরহাদ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *