‘সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায়ে ৮ প্রস্তাবনা’

Spread the love

নাগরিক রিপোর্ট:
বাংলাদেশ ইউনাইটেড ইসলামী পার্টির চেয়ারম্যান মাওলানা ইসমাইল হোসাইন বলেছেন, মহান মুক্তিযুদ্ধ না হলে দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্য বজায় রাখা সম্ভব হতো না। হিন্দু-মুসলিম উভয় পক্ষ থেকেই প্রতিবাদ সমাবেশ করা হচ্ছে যা দেশের সার্বিক পরিস্থিতিকে অস্থিতিশীল করে তুলছে।

এ পরিস্থিতি বিবেচনায় রেখে ৮টি প্রস্তাব উপস্থাপনা করেন তিনি। শনিবার বেলা সাড়ে ১১টায় শহিদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত বরিশাল প্রেসক্লাবের হলরুমে ‘সাম্প্রদায়িক অপশক্তি জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে আলেম ওলামাদের করনীয় কি শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সংগঠনের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক রেজাউল করীমের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় ইসলাম হোসাইন ওই প্রস্তাবনা তুলে ধরেন।

প্রস্তাবনার মধ্যে রয়েছে- বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মী এবং তাদের দোসরদের গ্রেফতার করতে হবে, মসজিদ-মন্দির-পূজা মন্ডপ-ঈদগাহ উপাসনালয়গুলোকে সিসিটিভি ক্যামেরার আওতায় আনা, ফেসবুকসহ অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিএনপি-জামাত চক্র যে গুজব ছড়াচ্ছে তাদের প্রত্যেককে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের আওতায় আনা, বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী কোন সম্প্রদায় অপর সম্প্রদায়ের ধর্ম এবং ধর্মীয় মূল্যবোধে আঘাত হানলে দল-মত নির্বিশেষে তাকে আইনের আওতায় আনা, দেশের সুযোগ-সুবিধা ভোগ করে বিএনপি-জামাত ও রাজাকারের বংশধররা লন্ডন থেকে নির্দেশনা পেয়ে রাজনীতি করে এবং দেশের মানুষের মধ্যে জ্বালাও-পোড়াও কর্মসূচি পালন করে তাদের চিহ্নিত করে গ্রেফতার করতে হবে।

পার্টির চেয়ারম্যান ইসমাইল হোসাইন আরও বলেন, স্বাধীনতার পর দেশ গড়তে যেসব প্রতিবন্ধকতা ছিল তার মধ্যে একটি ছিল ঘাঁপটি মেরে থাকা উগ্রবাদ। বঙ্গবন্ধু বুঝতে পারছিলেন দেশের সরলপ্রাণ মানুষদের ধর্মের নামে কট্টপন্থার দিকে ঠেলে দেওয়া হতে পারে। তাই তিনি প্রতিটি সাধারণ মানুষের কাছে ইসলাম ধর্মের শিক্ষা পৌঁছে দিতে প্রতিষ্ঠা করেন ইসলামিক ফাউন্ডেশন। বঙ্গবন্ধুর প্রতিষ্ঠিত ইসলামিক ফাউন্ডেশনই এখন সরকারি অর্থে পরিচালিত মুসলিম বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ সংস্থা।

স্বাধীনতার পর প্রথমবারের মতো হজ্ব যাত্রীদের জন্য সরকারি তহবিল থেকে অনুদানের ব্যবস্থা করেন বঙ্গবন্ধু। একইসঙ্গে ইসলামি আকিদাভিত্তিক জীবন গঠন ও ইসলামি শিক্ষা সম্প্রসারণের লক্ষ্যে পুনর্গঠন করেন মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড। বঙ্গবন্ধুই প্রথম মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ডকে স্বায়ত্তশাসন প্রদান করে এর নাম রাখেন ‘বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড’।
ইসলামের উর্বর ভূমি বরিশালে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষার্থে ওলামায়েকেরাম সোচ্চার থাকার আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, বরিশাল বিভাগে বিভিন্ন পীর সাহেবরা রয়েছেন তাদের দরবারে আসেন হিন্দু, মুসলিমসহ বিভিন্ন ধর্মলম্বীরা। এ কারনে বরিশাল বিভাগে কোন সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ, সাম্প্রদায়িক অপশক্তির জায়গা স্থান পাবে না।

সভায় বক্তব্য রাখেন সংগঠনের প্রেসিডিয়াম সদস্য মাওলানা জয়নুল আবেদীন, ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা আফলাতুল কাওসারসহ অন্যান্যরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *