নামকরা শিক্ষকরা উপাচার্য হতে আগ্রহী হন না

Spread the love

নাগরিক ডেস্ক:
দেশের নামকরা শিক্ষাবিদদের অনেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে কাজ করতে আগ্রহী হন না বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।

মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, পিরোজপুর বিল-২০২২ পাসের আলোচনায় তিনি এ কথা বলেন।

বিলটির ওপর জনমত যাচাই ও বাছাই কমিটিতে পাঠানোর প্রস্তাব সংসদে তোলার সময় বিরোধী দল জাতীয় পার্টির মুজিবুল হক চুন্নু এবং বিএনপির হারুনুর রশীদ উপাচার্যদের নানা অনিয়ম এবং দুর্নীতি নিয়ে তীব্র সমালোচনা করেন।

মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, আগে উপাচার্যদের কথা শুনলে শ্রদ্ধায় মাথা নত হয়ে আসতো। এখন তাদের দুর্নীতির খবর শুনে লজ্জায় মাথা হেট হয়ে যায়। উপাচার্যরা তাদের পরিবারের সদস্যদের নিয়োগ দিচ্ছেন। দুর্নীতি করছেন।

জাপার মহাসচিব দলীয় বিবেচনার বাইরে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগ করার দাবি করেন।

বিএনপির সংসদ সদস্য হারুনুর রশীদ অভিযোগ করেন, উপাচার্যরা বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে যা ইচ্ছা তাই করছেন।

এর জবাবে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের কার্যকলাপ নিয়ে কিছু কিছু সমালোচনা আছে। যেগুলোর সত্যতা আছে সেগুলোর বিষয়ে ব্যবস্থাও গ্রহণ করা হচ্ছে। কিন্তু তার মানে এই নয় যে, ঢালাওভাবে দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্যদের নিয়ে মন্তব্য করা সমীচীন মনে করি না।

তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগের জন্য যখন প্যানেল প্রস্তুত করে পাঠানো হয় তখন প্রথম দেখা হয় তাদের একাডেমিক একসিলেন্স, দ্বিতীয় দেখা হয় তারা গবেষণা কী রকম করেছেন। একইসঙ্গে তাদের যে প্রতিষ্ঠান, সেখানে নেতৃত্ব দিয়েছেন কী না… সমিতি থাকে, নানা জায়গায় থাকে সেখানে নেতৃত্ব দিয়েছেন কী না। উপাচার্য শুধু একাডেমিক দিক দেখেন না, তার নেতৃত্ব দেওয়ার গুণাবলী থাকাও জরুরি। একইসঙ্গে প্রশাসনিক দায়িত্ব পালন করেছেন কি না সেটাও দেখা হয়। এসব বিবেচনায় যাদের সবচাইতে ভালো মনে করা হয় তাদের নাম প্রস্তাব করা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *