হাঁস দিলো কালো ডিম

Spread the love

নাগরিক ডেস্ক : ভোলার চরফ্যাসনে গৃহপালিত একটি দেশি হাঁসের কালো ডিম দেখতে গৃহস্থের বাড়িতে মানুষের ভিড় জমেছে। দুই দিন ধরে আশেপাশের এলাকার শত শত মানুষ ভিড় করছেন জিন্নাগড় ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের হাঁসের মালিক তাসলিমা বেগমের বাড়িতে। হাঁসটি কালো ডিম দিচ্ছে- এ খবরে এলাকায় চাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে। বুধ ও বৃহস্পতিবার পর পর দুই দিন কালো ডিম দেয় হাঁসটি।

গৃহবধূ তাসলিমার স্বামী আবদুল মতিন জানান, বুধবার সকালে হাঁস ছাড়তে গিয়ে ওই কালো রঙের ডিমটি দেখতে পান। বৃহস্পতিবার সকালে আরও একটি কালো ডিম দেয় হাঁসটি। খবর পেয়ে সাংবাদিক ও প্রাণিসম্পদ বিভাগের কর্মকর্তারা ডিম দেখতে আসেছেন।

হাঁসের মালিক গৃহবধূ তাছলিমা বেগম সমকালকে জানান, আট মাস আগে প্রতিবেশীর কাছ থেকে ২১টি ছোট হাঁসের বাচ্চা কিনে আনেন তিনি। কাক, চিল, শিয়ালে নেওয়ার পর এবং রোগে ভুগে মারা যাওয়ার পর ১১টি হাঁস টিকে আছে। এর মধ্যে একটি হাঁস বুধবার সকালে একটি কালো ডিম দেয়। ডিমটি কালো দেখে প্রথমে ভয় পেয়ে যান। আজকেও কালো ডিম পেড়েছে হাঁসটি। তবে আগের দিনের থেকে একটু কম কালচে।

চরফ্যাসন উপজেলার উপসহকারী প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান সমকালকে জানান, বুধবার সকালে কালো ডিমের বিষয়টি জানতে পেরে আমরা ওই বাড়িতে গিয়ে সত্যতা পেয়েছি। বৃহস্পতিবার আরও একটি কালো ডিম দিয়েছে হাঁসটি। তবে প্রথম দিনের তুলনায় দ্বিতীয় দিনের ডিমের কালো রঙ কিছুটা কম। বিষয়টি আমরা পর্যবেক্ষণ করছি। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। ধারাবাহিকভাবে হাঁসটি ডিম দিতে থাকলে পরীক্ষা- নিরীক্ষার জন্য পাঠানো হবে।

জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ইন্দ্রজিৎ কুমার মণ্ডল বলেন, দেশি হাঁসের কালো ডিম দেওয়া এই প্রথম। জিংডিং জাতের এক প্রকার হাঁস হালকা নীল রঙের ডিম দেয়। কিন্তু কোনো দেশি হাঁস কালো ডিম দেয়, এটা এই প্রথম।

তিনি আরও বলেন, ভারতীয় ব্রিডের কাদারনাথ বা কালো মাসি জাতের মুরগী কালো ডিম দেয়, যার মাংসও কালো। তবে দেশি হাঁস কালো ডিম দেওয়ার নেপথ্যে জরায়ুর কোনো সমস্যা হতে পারে। সাধারণত হাঁসের জরায়ুতে ডিমের খোসাটি ১৯ ঘণ্টা থাকে। তবে ধারণা করা হচ্ছে, এটি একটি অস্বাভাবিক ডিম। পরীক্ষাগারে পাঠনো হলে এর আসল কারণ জানা যাবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *