নাগরিক রিপোর্ট : বরিশাল মোহামেডান স্পোটিং ক্লাব ও মাঠ দখলমুক্ত করার দাবীতে নগরে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করা হয়েছে। ‘ঐতিহ্যবাহি মোহামেডান ক্লাব রক্ষা কমিটি’র উদ্যেগে বুধবার সকালে এই কর্মসুচী পালিত হয়। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ এতে অংশগ্রহন করে আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেন। একমাস আগে রক্ষা কমিটি গঠনের পর এই প্রথম কর্মসূচী পালিত হলো। একদল কিশোর-কিশোরী প্রতিবাদের ভাষা হিসাবে ব্যাটমিন্টন খেলার ব্যাট নিয়ে মানববন্ধনে অংশগ্রহন করেন।
নগরের দক্ষিণ সদর রোডে ১৯৪২ সালে প্রতিষ্ঠিত বরিশাল মোহামেডান স্পোটিং ক্লাবের আধাপাকা স্থাপনা গত ১১ জানুয়ারী দিবাগত গভীর রাতে বুলড্রোজার দিয়ে গুড়িয়ে দিয়েছে সিটি করপোরেশন। ক্লাবের ভিটার ওপর স্থাপন করা হযেছে অস্থায়ী পাবলিক টয়লেট। এনিয়ে নগরের সচেতন নাগরিক ও ক্রীড়াপ্রেমিকদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে।
ক্লাব রক্ষা কমিটি ব্যানারে ক্ষুদ্ধ জনতা বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় ক্লাবের জমির ওপর দাড়িয়ে মানববন্ধন করেন। পরে বিক্ষোভ মিছিল করে জেলা প্রশাসকের দপ্তরে গিয়ে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। জেলা প্রশাসকের পক্ষে স্মারকলিপি গ্রহন করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) শাহ মো. রফিকুল ইসলাম।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন. ৮০ বছরের পুরানো ক্লাবটি বরিশালের ক্রীড়াঙ্গনের ইতিহাসের অংশ। তৎকালীন সময়ে জমিদার ক্লাবের নামে ৩৩ ৩৩ শতাংস জমি দান করেছেন। ক্লাবের নামে এস.এ এবং বি.এস পর্চা রয়েছে। কোন নোটিশ ছাড়াই রাতের আধারে স্থাপনা গুড়িয়ে দিয়ে ক্লাবের জমি দখল করেছে সিটি করপোরেশন।
বক্তারা আরো বলেন, একটি ক্রীড়া প্রতিষ্ঠান সচল না থাকলে প্রনোদনা দিয়ে সেটি সচল করার দায়িত্ব প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের। জমি দখল করে সেখানে টয়লেট স্থাপনা একজন জনপ্রতিনিধির (মেয়র) কুরুচির পরিচয় প্রকাশ পায়। ক্লাবের জমি অবিলম্বে ফিরিয়ে দেয়া না হলে আন্দোলন রাজধানী পর্যন্ত ছড়িয়ে দেয়ার পাশাপাশি আইনী লড়াই করার কথা জানিয়েছেন বক্তারা।
মোহামেডান স্পোটিং ক্লাব রক্ষা কমিটির আহ্বায়ক আওয়ামী লীগ নেতা মীর আমিন উদ্দিন মোহনের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তৃতা করেন সদস্য সচিব নজরুল ইসলাম খান, সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলনের কাজী এনায়েত হোসেন শিপলু, বাসদ নেত্রী ডা. মনীষা চক্রবর্তী, কমিউনিষ্ট লীগের নৃপেন্দ্র নাথ বাড়ৈ, পরিবেশবিদ কাজী মিজানুর রহমান, ইমামুল হাসান শামীম, গণনাট্য সংস্থার শাহ আজিজুর রহমান খোকন, শ্রমিক ফ্রন্টের শহিদুল ইসলাম, ছাত্র ফ্রন্টের বিজন সিকদার প্রমুখ।##