বেতন বৃদ্ধিসহ ৭ দফা দাবীতে অপসোনিন ফার্মায় শ্রমিকদের সড়ক অবরোধ

Spread the love

নাগরিক রিপোর্ট:

শ্রমিকদের মাসিক বেতন বৃদ্ধি করে ১২ হাজার টাকা করে নির্ধারন, চাকরি স্থায়ীকরন সহ ৭ দফা দাবীতে এবার ওষুধ শিল্পকারখানা অপসোনিন গ্রুপের প্রতিষ্ঠান অপসোনিন ফার্মা লিমিটেড এ শ্রমিক অসন্তোষ ছড়িয়ে পড়েছে। শনিবার সকাল ১১টা থেকে এ দাবীতে বরিশাল নগরীর গ্যাস্টারবাইন এলাকায় দপদপিয়া ফেরীঘাট সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ মিছিল করেন কয়েকশ শ্রমিক। ঢাকা-বরিশাল-কুয়াকাটা মহাসড়কে ঘন্টাব্যাপী এ বিক্ষোভে যান চলাচল ব্যাহত হয়।

এসময় বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা অভিযোগ করেন, অপসোনিন ফার্মা লিমিটেড এর শ্রমিকদের মাসে ৫-৬ হাজার টাকা বেতন দেয়া হয়। নিজেদের খরচ মিটিয়ে এই অল্প টাকা দিয়ে কোন শ্রমিকের পরিবারের ভরনপোষন মেটানো সম্ভব নয়। তারা বলেন, শেখ হাসানা সরকারের সময়ে শ্রমিকরা স্বাধীন ভাবে কথা বলতে পারেননি। নানা রকম ভয়ভীতি দেখিয়ে দমিয়ে রাখা হয়েছে। তাদের অন্যায়ের বিরুদ্ধে কোন শ্রমিক কথা বললে তাকে কারখানা ছাটাই করা হয়। শ্রমিকরা ন্যায্য দাবী আদায়ে সড়কে নেমেছে। দাবী মানা না হলে কারখানা অবরোধের মতো কর্মসূচি দেয়া হবে।

দাবীগুলোর মধ্যে অন্যান্য হচ্ছে- বছরে দুই বার বেতনের ৫০ ভাগ বোনাস প্রদান, চাকরিতে নিয়োগের পর নিয়োগপত্র এবং পরিচয়পত্র প্রদান, আন্দোলনে জড়িত কোনো শ্রমিককে হয়রানি না করা।

সমাবেশে বক্তব্য রাখেন অপসোনিন ফার্মার শ্রমিক মো: রানা, খুকুমনি, তাইজুল, রাব্বি। সংহতি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন বাসদ জেলা শাখার সমন্বয়ক ডাঃ মনীষা চক্রবর্ত্তী, সোনারগাঁও টেক্সটাইল শ্রমিক-কর্মচারী সংগ্রাম পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মোঃ ইমরান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন বরিশাল জেলা শাখার সমন্বয়ক সুজন আহমেদ প্রমুখ।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর টিম সেখানে যায়।
এদিকে শ্রমিকদের বিভিন্ন দাবী এবং বিক্ষোভের বিষয়ে অপসোনিন কর্তৃপক্ষের কোন কর্মকর্তা সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে চাননি। তবে বাসদ নেত্রী ডাঃ মনীষা বলেন, দুপুরে অপসোনিনের কর্তৃপক্ষের পক্ষে ম্যানেজার মোঃ সেলিম জাহাঙ্গীর, আই টি ম্যানেজার মোঃ সুমন, মোঃ সাইদুর রহমান ও শ্রমিকদের পক্ষে প্রতিনিধি দলের মধ্যে একটি বৈঠক হয়।

বৈঠকে রোববারের মধ্যে শ্রমিকদের দৈনিক মজুরি ৮ ঘন্টায় ১০০ টাকা বৃদ্ধি করা, ৭ দিনের মধ্যে ৬ মাসের বেশি কর্মরতদের স্থায়ীকরণ প্রক্রিয়া শুরু ও পরিচয়পত্র প্রদান করা এবং ১ মাসের মধ্যে নিয়োগপত্র দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়৷ একইসাথে মালিকরা আন্দোলনরত শ্রমিকদের অন্যায়ভাবে ছাঁটাই বা হয়রানি না করার প্রতিশ্রুতি দেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *