বাংলাদেশের নারী ফুটবলে নতুন ইতিহাস রচিত হয়েছে। প্রথমবারের মতো এএফসি নারী এশিয়ান কাপে জায়গা করে নিয়েছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। বাছাই পর্বে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দেখিয়ে ‘সি’ গ্রুপের সেরা দল হিসেবে মূল পর্বে জায়গা করে নেয় বাংলাদেশের মেয়েরা।
বাছাইয়ের শুরুতেই শক্তিশালী প্রতিপক্ষ বাহরাইনকে ৭-০ গোলে উড়িয়ে দেয় বাংলাদেশ। ফিফা র্যাংকিংয়ে বাংলাদেশের চেয়ে ৩৬ ধাপ এগিয়ে থাকা বাহরাইন কোনো প্রতিরোধই গড়তে পারেনি। দ্বিতীয় ম্যাচে অপেক্ষা করছিল আরেক কঠিন প্রতিপক্ষ—র্যাংকিংয়ে ৭৩ ধাপ এগিয়ে থাকা স্বাগতিক মায়ানমার। কিন্তু ঋতুপর্ণা চাকমার জোড়া গোলে ২-০ ব্যবধানে জয় তুলে নেয় বাংলাদেশের মেয়েরা। দুই ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপের শীর্ষে উঠে আসে বাংলাদেশ।
শেষ মুহূর্তে তুর্কমেনিস্তান ও বাহরাইনের মধ্যকার ম্যাচ ২-২ গোলে ড্র হওয়ায় নিশ্চিত হয়ে যায় বাংলাদেশের এশিয়ান কাপে খেলা। এমনকি পরের ম্যাচে তুর্কমেনিস্তানের বিপক্ষে হারলেও বাংলাদেশের গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হওয়া নিশ্চিত, যা মূল পর্বে জায়গা করে নিতে যথেষ্ট।
এর আগে ২০১৪ ও ২০২২ সালে এএফসি নারী এশিয়ান কাপে অংশ নিলেও কোনো জয় পায়নি বাংলাদেশ। এবারের টুর্নামেন্টে সেই শূন্যতা মুছে দিয়ে বড় অর্জনের পথে এগিয়েছে দলটি। বিশেষ করে ঋতুপর্ণা, আফঈদা খন্দকারসহ দলের তরুণ ফুটবলারদের পারফরম্যান্স নজর কেড়েছে ফুটবলপ্রেমীদের।
মায়ানমারের বিপক্ষে এই জয়ের গুরুত্ব আরও বেশি, কারণ এটি দুই দলের মুখোমুখি লড়াইয়ে বাংলাদেশের প্রথম জয়। ২০১৮ সালের অলিম্পিক বাছাইয়ে যেখানে বাংলাদেশ ৫-০ গোলে হেরেছিল, সেখানে আজ তারা মায়ানমারকেই হারিয়ে দিয়েছে আত্মবিশ্বাসে ভরপুর ফুটবলে।
বাংলাদেশের নারী ফুটবলের জন্য এটি শুধু একটি জয় নয়, বরং একটি যুগান্তকারী মাইলফলক, যা ভবিষ্যতের সম্ভাবনার দরজাগুলো আরও উন্মুক্ত করে দিয়েছে।