“সোনার চর” হচ্ছে বিশ্বমানের পর্যটন কেন্দ্র

Spread the love

নাগরিক রিপোর্ট ॥ পটুয়াখালীর রাঙাবালী উপজলোর দক্ষীণ সীমানায় বঙ্গোপসাগর তীরের ‘সোনার চর’ কে বিশ্বমানরে পর্যটন কেন্দ্রে রূপ দেয়া হবে।
বঙ্গোপসাগরের তীরের এ চর প্রাকৃতকি সৌর্ন্দযে ভরপুর। রাঙাবালীর দক্ষীণ সীমানায় বঙ্গোপসাগরের কোলঘেষে এর অবস্থান। পটুয়াখালীর মূল ভূখন্ড থেকে ১২০ কি:মি দক্ষিনে এবং পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটা থেকে মাত্র ৫০ কি:মি পূর্ব দিকে অবস্থান সোনার চরের। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যের অচেনা অজানা এ সোনার চর ঘিরে এক্সক্লুসিভ পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তুলতে প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার।
অদ্ভুত সুন্দর সোনারচর:
তখন ২০১৪ সাল। সরেজমিনে পরিদর্শনে দেখা গিয়েছিল উপকূলীয় এ সোনার চর যেন বিচিত্রময়। বঙ্গোপসাগরের কোল ঘেষে গড়ে ওঠা এ সোনারচরের দৃশ্য দেখলে যে কেউ বিমহিত হবেন। চিকচিক করে বালুচর। কাকড়া, বন্রপ্রানী আর নানা ধরনের গাছে ঘেরা এর তীর। এর জীবনমানও অতিসহজ। মাছ, খাবারের দাম অতি সীমিত। সাধারন মানুষগুলো অতি সহজ সরল। যেন সোনা দিয়ে বাধানো এ সোনার চর।

এ প্রসঙ্গে নগর উন্নয়ন অধিদফতরের সিনিয়র প্লানার মাকসুদ হাসমে বলেন, এক্সক্লুসিভ পর্যটন কেন্দ্র হবে ‘সোনার চর’। এসব এলাকায় ইকোর্পাকসহ ম্যানগ্রোভ ফরেস্টে রূপ দেয়া হবে। পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে সোনার চরে রয়েছে অপার সম্ভাবনা। এখানে যাতায়াতের সুব্যবস্থাসহ রাত্রীযাপনরে জন্য নির্মাণ করা হবে আধুনিক অবকাঠামো। এর আগে পুরো এলাকা সার্ভে করতে ব্যবহার করা হচ্ছে ড্রোন। সার্ভে সম্পন্ন হওয়ার পরই পুরো এলাকাজুড়ে মহাপরকিল্পনা নেয়া হবে। তিনি বলেন, সোনার চরকে ঘিরে গড়ে উঠতে পারে বিশ্বমানের ইকো ট্যুরিজম।
নগর উন্নয়ন অধিদফতর সূত্র জানায়, দুর্যোগ ও জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুƒপ প্রভাব সহনীয় পরিকল্পিত ভূমি ব্যবহার নিশ্চিতকরণেই ড্রোন সার্ভে করা হবে। প্রকল্পের আওতায় সোনার চরকে বিশ্বমানরে পর্যটন কেন্দ্রে রূপ দেয়া হবে। এজন্য সব ধরনরে আধুনকি অবকাঠামো নির্মান করবে সরকার। কুয়াকাটা, তালতলী ও পাথরঘাটা উপজলো সমন্বয়ে র্পযটন জোন স্থাপনে করা হবে ড্রোন সার্ভে। চলতি সময় থেকে শুরু করে ২০২১ সালরে জুন মাসে সার্ভে কাজ সমাপ্ত হবে।
কেন সোনার চর আকর্ষনীয়:
নগর উন্নয়ন অধদিফতর জানায়, নদী বা সমুদ্রই হচ্ছে এই চরে যাতায়াতরে একমাত্র পথ। সোনার চর সূর্যের আলোতে সোনার মত চকচক করে। চরের প্রতিটি বালুকণা সোনার মত দেখায়। এছাড়া সোনার চরে আছে হরিণ, বানর, শুকরসহ বিভিন্ন প্রজাতরি বন্যপ্রাণী। দেখা যায় প্রকৃতরি নীলিমায় ভরা মনোরম দৃশ্য। শেষ বিকেল থেকে শুরু হয় লাল কাঁকড়ার ছোটাছুটু। রয়েছে সুন্দরী, কেওড়া, গড়াল, র্গজন, খইয়া বাবলা ও ছইলাসহ নানা প্রজাতরি গাছ। সৈকতের পাশে ঝাউগাছের সারি আর শীতে পরীযায়ী পাখির বিচরনণক্ষত্র হয়ে উঠেছে এ সোনার চর।
সরকারের পরিকল্পনা:
এই এলাকায় সার্ভে কাজে ব্যবহার করা হবে ড্রোন। সোনার চরের বিশ হাজার ছাব্বিশ হেক্টর বিস্তৃত বনভূমিসহ ১০ কি:মি দীর্ঘ সমুদ্র সৈকতজুড়ে গড়ে তোলা হবে এক্সক্লুসভি পর্যটন কেন্দ্র এজন্য ‘প্রিপারশেন অব পায়রা-কুয়াকাটা- রিজিওনাল প্লান’ প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে যাচ্ছে সরকার। এসব এলাকাজুড়ে বাস্তবায়ন করা হবে মহাপরকিল্পনা। এর আগে সমীক্ষা করা হবে সংশ্লস্ট এলাকায়। এ কাজে ৬৩ কোটি ২১ লাখ টাকা ব্যয় করবে সরকার।
এই চরকে এক্সক্লুসভি র্পযটন কেন্দ্রে রূপান্তর করতে সমীক্ষা কাজ পরিচালনায় দুই কোটি টাকা মূল্যের কয়েকটি ড্রোন ব্যবহার করা হবে। পরার্মশক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ম্যাপ তৈরির কাজ করা হবে ১৫ হাজার একরজুগে বলে জানায় নগর উন্নয়ন অধিদফতর।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *