নাগরিক রিপোর্ট ॥ রাজশাহী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ প্রকৌশলী ফরিদ উদ্দীন আহম্মেদকে ধরাধরি করে পুকুরে ফেলে দিয়েছেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। শনিবার দুপুরে কলেজে নিজ কার্যালয়ে যাওয়ার সময় তাকে চ্যাংদোলা করে তুলে নিয়ে পুকুরের পানিতে ফেলে দেওয়া হয়। তবে সাঁতার জানার কারণে রক্ষা পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন অধ্যক্ষ ফরিদ উদ্দীন।
অধ্যক্ষ বলেন, ‘বিভিন্ন সময় ছাত্রলীগের ছেলেরা অন্যায় দাবি নিয়ে আসত আমার কাছে। সেসব দাবি না মানায় তারা আমার ওপর ক্ষুব্ধ ছিল। তাদের দাবিগুলো মানার মতো থাকে না।’
তিনি বলেন, ‘ক্লাসে উপস্থিতি কম থাকায় দুজন ছাত্রের ফরম পূরণ হয়নি। সেই দুই ছাত্রের ফরম পূরণ করানোর জন্য সকালে কয়েকজন আমার কাছে এসেছিল। আমি বিভাগীয় প্রধানের কাছে যেতে বলি। এ সময় তারা আমাকে নিয়ে অশালীন মন্তব্য করে। এতে আমি তাদের ওপর ক্ষুব্ধ হয়ে কয়েকটি কথা বলি। তখন তারা বের হয়ে যায়।’
ফরিদ উদ্দীন জানান, দুপুরে নামাজ পড়ে অফিসে যাওয়ার সময় পলিটেকনিক ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক কামাল হোসেন সৌরভসহ কয়েকজন তার পথ আটকে বলেন, ‘স্যার কথা আছে। একটু পুকুরের ধারে আসেন।’ তিনি যেতে না চাইলে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা তাকে তুলে নিয়ে পুকুরে ফেলে দিয়ে পালিয়ে যান।
অধ্যক্ষ বলেন, ‘যেখানে আমাকে ফেলে দিয়েছে সেখানকার পানির গভীরতা ছিল ১২ থেকে ১৫ ফুট। সাঁতার জানতাম বলে বেঁচে গেছি।’ এ ঘটনায় তিনি মামলা করবেন বলে জানান।
এ বিষয়ে পলিটেকনিক ছাত্রলীগের সভাপতি মেহেদী হাসান রিগেন বলেন, অধ্যক্ষকে পুকুরে ফেলে দেওয়ার ঘটনায় ছাত্রলীগের ছেলেরা জড়িত কি-না, তা এখনও নিশ্চিত নয়। বিষয়টি খতিয়ে দেখছি। ছাত্রলীগের কেউ জড়িত থাকলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। নগরীর চন্দ্রিমা থানার ওসি শেখ গোলাম মোস্তফা বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। সিসিটিভির ফুটেজ দেখে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
২০১৯-১১-০২