সৈয়দ জুয়েল: বাংলাদেশে প্রাাপ্তির জায়গা অনেক। কিন্তু যা প্রত্যাশা করেছে সাধারন মানুষ তার অনেকাংশেই অর্জন হয়নি। মা, শিশুর স্বাস্থ্য সেবার ব্যাপক উন্নয়ন সহ বড় বড় প্রজেক্টের কাজ এগিয়েছে দ্রুতগতিতে। গুনি কিছু মানুষ হারিয়েছি এ বছরটায়। বর্ষীয়ান রাজনীতিক সৈয়দ আশারাফুল ইসলাম, গীতিকার,সুরকার,সঙ্গীত পরিচালক ও মুক্তিযোদ্ধা আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল, তারুন্যের মন কাদানো আইউব বাচ্চু, কৌতুকাভিনেতা টেলিসামাদ, নাট্যকার,ভাষা সৈনিক মমতাজউদ্দিন আহমেদ, সাবেক রাস্ট্রপতি এরশাদ সহ আরো অনেকে।
ফেব্রæয়ারীর চকবাজার অগ্নিকান্ডে ৭৮ জনের প্রানহানির ঘটনা সহ বনানীর এফ আর টাওয়ারে ২৬ জন, কেরানীগঞ্জের প্লাস্টিক সামগ্রী তৈরীর কারখানায় আগুন লেগে ১৩ জনের মৃত্যু, ঘূর্নিঝড় বুলবুলে ১৭ জন, যাত্রীবাহি ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষে ১৬ নিহতের ঘটনায় চোখের জল শুকানোর আগেই আরো দুটি মৃত্যুর ঘটানায় জাতি হতবাক হয়েছে। মাদ্রাসা ছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে মাদ্রাসার অধ্যাক্ষের হাতে ঝলসে দেয়া মেয়েটি দুদিন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পরে। আরেকটি ঘটনাও জাতিকে হতবাক করে দিয়েছিলো আবরার হত্যাকান্ড, বুয়েটের তরিৎ ও ইলেকট্রনিক প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের এ মেধাবী তরুনকে যেভাবে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে, যা জাতির বিবেকে বড় একটা ধাক্কা দিয়েছে।
যাতে করে অনেক অবিভাবকরা তাদের সন্তানদের শিক্ষাঙ্গনে পাঠাতে নিরাপত্তাহীনতায় ভূগেন এখনো। র্যাগিং এর নামে নির্যাতনে শিউরে উঠেন সর্বোচ্চ এসব বিদ্যাপীঠের শিক্ষার্থীরা। এছারাও বাজার ব্যাবস্থার দাম নিয়ন্ত্রন রক্ষার দায়িত্বে কর্তা ব্যাক্তিদের উপর সাধারন মানুষের ক্ষোভ ছিল অসহনীয়। ক্রয় ক্ষমতা সাধারনের নাগালের বাহিরে গেছে বেশ কয়বার। বিশেষ করে পিঁয়াজের রেকর্ড ২৫০ টাকা কেজিতে সাধারনের মানুষের নাভিশ্বাস ছিল চরমে। বাংলাদেশের ইতিহাসে শৃংখলা ভঙ্গের দায়ে ছাত্রলীগের সভাপতি,সাধারন সম্পাদককে দল থেকে বহিস্কার সাধারন মানুষের প্রশংসা কুড়িয়েছে বেশ। এরকম সাহসী পদক্ষেপে আইনের উর্দ্ধে কেউ-ই নন,তারই বহিঃপ্রকাশ। নিরাপদ সড়ক আইনে আসছে বেশ কিছু পরিবর্তন। নুতন এ আইনের কার্যকরীতে সড়কে মৃত্যুর মিছিল অনেক কমে আসবে।শিক্ষা,নারীর ক্ষমতায়নে বাংলাদেশ এগিয়েছে বেশ কয়েক ধাপ। বিদেশী মিডিয়ায় এ খবর এসেছে নানান ভাবে। প্রাকৃতিক দূর্যোগ, দূর্নীতি, অনিয়ম রোধে সরকার নিয়েছে বেশ কিছু পদক্ষেপ, এর সঠিক বাস্তবায়নে খুব শীঘ্র জনগন তার সুফল পাবেন বলে নীতি নির্ধারকদের ধারনা।
২০২০ এ,অনাকাংখিত মৃত্যু, বাজার নিয়ন্ত্রনরোধে সরকারের আরো কঠোর হস্তক্ষেপের দাবী সাধারন মানুষের। সব মিলিয়ে ২০১৯ ছিল হাসি, কান্না, ক্ষোভ, প্রপ্তির বছর। মিশ্রিত এ বছরের চেয়ে ২০২০ আরো ভাল হবে, এটাই আমাদের প্রত্যাশা।
২০১৯-১২-৩০