নাগরিক রিপোর্ট: প্রাণঘাতী করোনার প্রভাবে টানা সাড়ে ৩ মাস পর বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) শিক্ষাকার্যক্রম অনলাইনে শুরু হয়েছে। বুধবার আনুষ্ঠানিক ভাবে ২৪টি বিভাগ এ অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. ছাদেকুল আরেফিন বলেছেন, গত দুই মাস পরীক্ষামুলকভাবে ক্লাস পরিচালনায় ধারনা করা হচ্ছে গড়ে ৫০ ভাগের বেশি শিক্ষার্থী লাইভে অংশগ্রহন করবে।
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাধারন সম্পাদক ও পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. খোরশেদ আলম বলেন, করোনার প্রভাবের কারনে প্রতি সপ্তাহেই তিনি দুটি করে ক্লাস নিয়েছেন। অনুষ্ঠানিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস অনলাইনে শুরু হওয়ায় এখন থেকে এর গতি আরও বৃদ্ধি পাবে। তিনি বলেন, পরীক্ষামুলকভাবে ক্লাসে লাইভে ৫০ থেকে ৬০ ভাগ শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিল। নিয়মিত অনলাইন ক্লাসে মোট শিক্ষার্থীর অর্ধেক উপস্থিতি থাকবে বলে তিনি মনে করেন। শিক্ষক নেতা ড. খোরশেদ বলেন, মুলত শিক্ষার্থীদের প্রধান সমস্যা মোবাইলের ইন্টারন্টে নেটওয়ার্ক এর স্পীড দুর্বল। দ্বিতীয়ত অনেকেরই স্মার্ট ফোন কিংবা ল্যাপটপ নেই। তৃতীয়ত অনলাইনে যুক্ত হতে যে ডাটা কিনতে হচ্ছে তা ব্যয়বহুল। তিনি এজন্য শিক্ষার্থীদের জন্য ‘সুদ মুক্ত শিক্ষা ঋন’ দাবী করেছেন।
ববি’র অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রমের কারিগরি কমিটির সমন্বয়ক সহকারী অধ্যাপক রাহাত হোসেন ফয়সাল বলেন, তারা বেশ কিছুদিন ধরে শিক্ষা ও শিক্ষার্থীদের এ বিষয়ে পরীক্ষামুলকভাবে প্রশিক্ষন দিয়েছেন। শিক্ষার্থীরাও এ বিষয়ে বেশ আগ্রহী। শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সহায়তায় করোনাকালীন অনলাইন ক্লাস চলমান রাখার চেস্টা অব্যাহত থাকবে।
এব্যাপারে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. ছাদেকুল আরেফিন বলেন, মঞ্জুরি কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী বুধবার থেকে তারা শিক্ষার্থীদের অনলাইনে ক্লাস নেয়া শুরু করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের ফলাফলও দেয়া শুরু হচ্ছে। তবে পরীক্ষা, ল্যাব, মিট্রাম আপাতত নেয়া হচ্ছে না। শিক্ষাকার্যক্রম অনলাইনে সচল রাখার জন্য একটি কারিগরি কমিটি করে দেয়া হয়েছে। অনলাইন ক্লাস নেয়ার জন্য প্রতিটি বিভাগ তাদের একাডেমিক রুটিন স্বাধীনভাবে করে নিচ্ছে। তিনি বলেন, গত কয়েক মাসের পরীক্ষামুলক ক্লাসের তথ্য অনুযায়ী মনে হচ্ছে গড়ে সবোর্চ ৫০ থেকে ৬০ ভাগ শিক্ষার্থী লাইভ অংশ নিবে।
তবে লাইভ কার্যক্রম দেখছে ৮০ থেকে ৯০ ভাগ। উপাচার্য ড. ছাদেকুল আরেফিনের মতে, অনলাইন ক্লাস নিতে ৩টি সমস্যা দেখা দিয়েছে। এগুলো হচ্ছে ইন্টারনেট ব্যাবহারের সামর্থ, ডিভাইস ব্যবহারের সামর্থ ও ইন্টারনেটের স্পীড। তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের এসব সমস্যা গত ২৫ জুন এক সভায় বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনকে অবহিত করা হয়েছে।