নাগরিক রিপোট : চরমোনাই শায়েখের ওপর হামলা হয়েছে- এমন খবরে গভীর রাতে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটা। চারদিক থেকে চরমোনাই মুরিদ-ভক্তরা ছুটছেন কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে। মুহূর্তে কুয়াকাটা জিরো পয়েন্ট লোকে লোকারণ্য হয়ে যায় সবাই ধর ধর বলে ছুটে আসে। ট্যুরিস্ট পুলিশ, থানা পুলিশ তাদের লাঠিপেটা করে নিবৃত করে। পরে এ ঘটনায় একজনকে আটক করে পুলিশ। বুধবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে চরমোনাই ভক্তরা এমন কান্ড করেন।
গভীর রাতে ছুটে আসা নাসির উদ্দিন জানান, আলীপুরে চরমোনাই হুজুরের মাহফিল শেষে হুজুর কুয়াকাটা সৈকতে আসেন। এখানে আসার পর তার ওপর নাকি এক লোক হামলা করেছে। এ খবর পেয়ে তিনি সহ তার ভক্তরা ছুটে আসেন।
প্রত্যক্ষদর্শী কুয়াকাটা সাগর সৈকত জামে মসজিদের মোয়াজ্জেম হাফেজ মোহাম্মদ হারুনর রশীদ জানান, জামিয়া এমদাদিয়া কাসেমূল কুয়াকাটা, বার্ষিক মাহফিল শেষে শাইখুল হাদিস আল্লামা মুফতি সৈয়দ মোহাম্মদ ফয়জুল করিম (শায়েখে চরমোনাই) কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে আসেন। তখন রাত ১২টার কাছাকাছি। হুজুর জরুরি কাজ সারতে সৈকতের মসজিদ এলাকায় গেলে তার গাড়ির পেছনে আমি দাঁড়িয়ে থাকি।
এমন সময় স্বাস্থ্যবান এক লোক জুতা ও মোবাইল হাতে হুজুরের গাড়ির পাশের জানালা দিয়ে উঁকি দেন। এ সময় কয়েকজন লোক এটা চরমোনাই শায়েখের গাড়ি বলে তাকে সরতে বললে তিনি চড়াও হয়ে একজনকে থাপ্পড় দেন। সাথে সাথে লোকজন তার ওপর চড়াও হয়ে কিল-ঘুষি মারতে থাকেন। এমন সময় তাকে উদ্ধার করে পুলিশ বক্সে নিয়ে যায় পুলিশ।
ট্যুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা জোন সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার সোহরাব হোসাইন জানান, রাত ১২টার দিকে সৈকত এলাকায় পর্যটক বাবু নামের এক যুবকের সাথে হাতাহাতি হয় চরমোনাইয়ের কয়েকজন ভক্তের। আমরা ওই যুবককে আলাদা করে পুলিশ বক্সে নিয়ে আসি। এরই মধ্যে বেশ কিছু লোক জড়ো হওয়ায় ওই যুবককে থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করি।
মহিপুর থানার ওসি মনিরুজ্জামান জানান, রফিকুজ্জামান বাবু নামের এক লোককে আমরা উদ্ধার করে হাসপাতালে চিকিৎসা দেই। ডাক্তার জানান সে একজন মানসিক রোগী। এছাড়া তার পরিবারের সাথে কথা বলে জানতে পেরেছি সে দীর্ঘদিনের মানসিক রোগী।