নাগরিক ডেস্ক : সারা বিশ্বে করোনা ছড়িয়ে পড়ার দুই বছর হতে চলেছে। এর মধ্যে তুর্কমেনিস্তান দাবি করছে, সেই দেশে কোনো কভিড রোগী শনাক্ত হয়নি। খোদ দেশটির প্রেসিডেন্ট জাতিসংঘে এ কথা বলেছেন।
সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন থেকে আলাদা হওয়া তুর্কমিনিস্তানের জনসংখ্যা ৬০ লাখের মতো।
সিএনএন জানায়, জন্স হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয় ও ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশনের সংগ্রহ করা তথ্য পর্যালোচনায় করে দেখা যায়, শুধু তুর্কমেনিস্তান নয়, কমপক্ষে আরও চারটি দেশ একই দাবি জানিয়েছে। এর মধ্যে তিনটি প্রশান্ত মহাসাগরের প্রত্যন্ত দ্বীপ, অন্যটি কড়া সেন্সরে ঢাকা উত্তর কোরিয়া।
২০০৬ সাল থেকে তুর্কমেনিস্তানের ক্ষমতায় আছেন প্রেসিডেন্ট গারবাঙ্গুলি বারদিমুহমেদভ। গত মঙ্গলবার জাতিসংঘে তার দেশে করোনা সংক্রমণের কথা নাকচ করে জানান, মহামারি নিয়ে রাজনীতি করা ঠিক নয়।
তবে স্বাধীন সংস্থা, সাংবাদিক ও তুর্কমেনিস্তানের বাইরে থাকা সংগঠকেরা ভিন্ন তথ্য দিচ্ছেন। তাদের কাছে দেশটিতে বয়ে চলা করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের প্রমাণ আছে বলে জানান। ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে হাসপাতালগুলোতে রোগীর ঢল নেমেছে, মারা গেছে কয়েক ডজন মানুষ। তারা দাবি করছেন, মুখরক্ষার জন্য প্রকৃতি চিত্রের বিপরীত কথা বলছেন প্রেসিডেন্ট গারবাঙ্গুলি।
নির্বাসিত সাংবাদিক রুসলান মায়াটিয়েভ জানান, তিনি ব্যক্তিগতভাবে ৬০ জন কভিডে মৃত ব্যক্তির তালিকা জোগাড় করেছেন। যাদের মধ্যে শিক্ষক, শিল্পী ও চিকিৎসক রয়েছে। তাদের মেডিকেল টেস্টের রিপোর্টও এসেছে হাতে।
তুর্কমেনিস্তানের সঙ্গে বড় দৈর্ঘ্যের সীমানা রয়েছে ইরানের। সেখানে ৫৫ লাখের বেশি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছে, মারা গেছে ১ লাখ ১৯ হাজারের বেশি। বিষয়টি উল্লেখ করে গারবাঙ্গুলির দাবিকে নাকচ করছেন অনেকে।