পুলিশের বাড়তি সতর্কতা

Spread the love

নাগরিক রিপোর্ট:
নগরীর বিভিন্ন স্পটে আকস্মিকই মঙ্গলবার বাড়তি সতর্কতায় ছিল বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ (বিএমপি)। টহলও বাড়ানো হয়েছে সড়কে সড়কে। পুলিশ এ বিষয়ে মুখ না খুললেও নগরীতে বিএনপির সাম্প্রতিক মুভমেন্টই এর অন্যতম কারন। এদিকে নগরীর নিরাপত্তা নিশ্চিতে ৮টি প্রবেশদ্বারে ফেস ডিটেকশনসহ সিসি ক্যামেরা স্থাপনা করা হয়েছে। বিএমপি জানিয়েছে, বরিশাল নগরময় নিরাপত্তা ব্যাবস্থা জোরদারে কমান্ড এন্ড কন্ট্রোল সেন্টারের আওতায় এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার সকালে বরিশাল প্রেসক্লাব, টাউন হল, ডিসি অফিসের সামনে, নথুল্লাবাদ বাস টার্মিনাল, রুপাতলী বাস টার্মিনাল, আমতলার মোড়ে পুলিশের বাড়তি সতর্কতা দেখা গেছে। সড়কে ছিল একাধিক টহল পিকআপ।

কোতয়ালী থানার ওসি (তদন্ত) লোকমান হোসেন বলেন, বিএনপির কর্মসুচীর কারনে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা রয়েছে নগরীতে। এটি তাদের নিয়মিত সতর্ক ব্যবস্থা। কাউনিয়া থানার ওসি (তদন্ত) সগির হোসেন অবশ্য নিরাপত্তা জোরদারের বিষয় অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, এ ধরনের কোন নির্দেশনা তারা পাননি। তবে এতে নগরীর স্বাভাবিক কার্যক্রমে কোন ছন্দপতন ঘটেনি।

এদিকে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ সুত্রে জানা গেছে, নগরীর নিরাপত্তায় বিএমপির পক্ষ থেকে বিভিন্ন স্থানে স্থাপন করা হয়েছে অত্যাধুনিক ২২৫টি সিটি ক্যামেরা। নগরের দুটি বাস টার্মিনাল এবং নদী বন্দর এলাকায় স্থাপন করা হয়েছে ৩৬০ ডিগ্রি এ্যাংগেলের ৩টি পিটিজেড ক্যামেরা। সন্দেহজনক কিছু দৃষ্টিগোচর হলে বিএমপির কন্ট্রোল সেন্টার থেকে এ ক্যামেরা ৩৬০ ডিগ্রি পর্যন্ত ঘুরিয়ে নজরদারি করতে পারবে বলে সুত্রে জানা গেছে।

নগরীর ৮টি প্রবেশদ্বারে স্থাপন করা হয়েছে ফেস ডিটেকশন ক্যামেরা। চিহ্নিত অপরাধী প্রবেশদ্বার দিয়ে নগরীতে প্রবেশের সাথে সাথে ফেস ডিটেকশন ক্যামেরা স্বয়ংক্রিয়ভাবে সংকেত দেবে বলে বিএমপি সুত্রে জানা গেছে।

সুত্রমতে, নজরদারির জন্য গঠন করা হয়েছে ‘কমান্ড এন্ড কন্ট্রোল সেন্টার’। মেট্রোপলিটনের ক্রাইম অপারেশন এন্ড প্রসিকিউশন শাখার অধীনে কমান্ড এন্ড কন্ট্রোল সেন্টার কাজ করছে। অতিরিক্ত উপ-কমিশনার, সহকারী কমিশনার ও পরিদর্শকসহ বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা কন্ট্রোল সেন্টার নজরদারি করছেন। গত ১৭ নভেম্বর কমান্ড কন্ট্রোল সেন্টারের উদ্বোধন করেন পুরিশ মহাপরিদর্শক ড. বেনজীর আহমেদ।
জানা গেছে, সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে ইতিমধ্যে নগরীতে ছিনতাই নাটকের রহস্য উন্মোচন, চুরি, ছিনতাইসহ নানা অপরাধের রহস্য উন্মোচন করেছে বিএমপির বিভিন্ন থানা পুলিশ।
এব্যপারে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার মো. রাসেল সাংবাদিকদের জানান, নগরীর নিরাপত্তা রক্ষায় প্রশিক্ষনপ্রাপ্তদের দিয়ে গঠন করা হয়েছে কমান্ড এন্ড কন্ট্রোল সেন্টার। সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে যে কোন অপরাধমুল কর্মকান্ড কন্ট্রোল সেন্টারের নজরে আসবে।

অপরাধী শনাক্তে প্রবেশ পথগুলোতে স্থাপন করা ফেস ডিটেকটর গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা রাখবে। এর ফলে নগরীরবাসীর নিরাপত্তা বৃদ্ধি সহজ হবে বলে মনে করেন অতিরিক্ত উপ-কমিশনার মো. রাসেল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *