নাগরিক রিপোর্ট:
রাজধানীতে বিএনপির মহাসমাবেশে অংশ নেয়া বরিশাল দক্ষিন জেলার মিছিলে চরম বিশৃংখলা হয়েছে। এসময় জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আবুল কালাম শাহিন মিছিলের সামনে থাকা কেন্দ্রীয় বিএনপি নেতা আবু নাসের মোহাম্মাদ রহমাতুল্লাহর উপর চড়াও হন। এক পর্যায়ে তাকে থাপ্পর দিতে উদ্যত হলে মিছিলে থাকা নেতাকর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। বেলা পৌনে ১২টায় আরামবাগের ফকিরাপুল সংলগ্ন এলাকায় এ বিশৃংখলা দেখা দেয়।
প্রত্যক্ষদর্শী বরিশাল জেলা বিএনপির একাধিক নেতা জানান, মহাসমাবেশে যোগ দিতে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তাদের মিছিল রওনা দেয়। মিছিল চলাকালে দক্ষিনের সদস্য সচিব একাধিকবার বের হয়ে সামনে দাড়ায়। মিছিলের অগ্রভাগে থাকা বিএনপির কেন্দ্রীয় সদস্য আবু নাসের রহমাতুল্লাহ ব্যানারের মধ্যে সকলকে আসার তাগিদ দেন। কিন্তু কেউ কেউ আবার মিছিলের সামনে গিয়ে সেলফি তোলার চেস্টা করে। এক পর্যায়ে সদস্য সচিব শাহিন ফের ব্যানার থেকে বের হয়ে গেলে রহমাতুল্লাহও বের হয়ে মিছিলের সামনে দাড়ায়।
দক্ষিন জেলা বিএনপির অন্তত দুই জন সদস্য জানান, রহমাতুল্লাহকে শাহিন ধাক্কা দিয়ে মিছিল থেকে বের করার চেস্টা করেন। এক পর্যায়ে থাপ্পর দিতে উদ্যত হলে শাহিনের সঙ্গে রহসাতুল্লাহর হাতাহাতি হয়। ওই নেতারা বলেন, সদস্য সচিব শাহিন একক আধিপত্ত বজায় রাখতে গিয়ে এমন ঘটনা ঘটিয়েছেন।
দক্ষিন জেলা বিএনপির সদস্য ওয়াহিদুল ইসলাম প্রিন্স বলেন, রহমাতুল্লাহ কেন্দ্রীয় নেতা হিসেবে মেহমান হয়ে আমাদের সঙ্গে থাকবেন। কিন্তু সদস্য সচিব আবুল কালাম শাহিনের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে তিনি মিছিলের সামনে যেতে চান। যেকারনে শাহিন ভাইয়ের সঙ্গে রহমাতুল্লাহর তর্কাতর্কি হয়েছে মাত্র। বিএনপি নেতা রহমাতুল্লাহর উপর চড়াও হওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, রহমাতুল্লাহ যা করেছেন তাতে তার আরও শাস্তি হওয়া উচিৎ ছিল।
জানতে চাইলে বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য ও সদর উপজেলা সদস্য আবু নাসের মুহাম্মাদ রহমাতুল্লাহ বলেন, বড় দলে বড় কর্মসুচী। সেখানে ভুল বোঝাবুঝি হতেই পারে। আমরা নিজেদের মধ্যে এই ভুল বোঝাবোঝি মিটিয়ে ফেলবো। তবে রহমাতুল্লাহ দাবী করেন- তিনি মেহমান নন, বরং বরিশাল সদরের বাসিন্দা।
এব্যপারে দক্ষিন জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আবুল কালাম শাহিন বলেন, ‘আরে নাহ, তেমন কিছুই হয়নি। মিছিলের লাইন ঠিক করতে গেলে ওরকম ধাক্কাধাক্কি হবেই। এটা তেমন কিছুই না।’