যৌনকর্মীর প্রেমে পড়ে বিপদে যুবক : থানায় মামলা

Spread the love

নাগরিক্ ডেস্ক : যৌনপল্লিতে ফূর্তি করতে গিয়ে প্রেমে পড়ে গিয়েছিলেনে এক যৌনকর্মীর। আর তাতেই ঘনিয়ে এল বিপদ। বিভিন্ন কারণ দেখিয়ে প্রথমে ২ লক্ষ টাকা আদায়। তারপর এক সঙ্গীকে নিয়ে যুবকের বাড়িতে হাজির হয়ে ৫ লক্ষ টাকা তোলা চেয়ে হুমকি যৌনকর্মীর। সাত দিনের মধ্যে ওই টাকা না দিলে মিথ্যে মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ার হুমকি যৌনকর্মীর। এমনকী যৌনকর্মীর ওই সঙ্গী তাকে খুনের হুমকিও দেয়। শেষ পর্যন্ত ভারতের শিয়ালদহ আদালতের নির্দেশে পুলিশ চিৎপুর থানায় তোলাবাজির অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

পুলিশ জানিয়েছে, উত্তর কলকাতার পাইকপাড়া এলাকার বাসিন্দা ওই যুবক দু’বছর আগে সোনাগাছির যৌনপল্লিতে যান। সেখানেই তার সঙ্গে পরিচয় হয় এক যৌনকর্মীর। যুবক ওই যৌনকর্মীর কাছে একাধিকবার যেতে শুরু করেন। যুবক পুলিশকে জানিয়েছেন, তিনি ‘মানসিকভাবে’ যৌনকর্মীর কাছাকাছি পৌঁছে যান। সেই সুবিধা নিয়ে বিভিন্ন কারণে ওই যুবতী তার কাছ থেকে টাকা নিতে থাকে। যুবকও তাকে টাকা দিতেন। যুবতীর আসল বাড়ি উত্তর ২৪ পরগনার হাড়োয়ায়। কিন্তু ঘর ভাড়া নিয়ে দমদমে থাকত সে। ইতিমধ্যে ওই যৌনকর্মী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। সেই সূত্রেই বিভিন্নভাবে যুবককে চাপ দিতে শুরু করে যুবতী। এমনকী, এ-ও বলা হয় যে, সন্তানটি তারই। যৌনকর্মী ভ্রূণ নষ্ট না করে শিশুটির জন্ম দিতে চায়। আর সেই কারণেই টাকা চাইতে শুরু করে।

ওই যুবকের দাবি, প্রথমে মানবিকতার খাতিরেই তিনি রূপা নামে ওই যুবতীকে ২ লক্ষ টাকা দেন। যুবকের অভিযোগ, যৌনকর্মী ওই টাকা পেয়েই ক্ষান্ত হয়নি। সে আরও টাকা চাইতে শুরু করে। প্রথমে যুবক বিষয়টিকে পাত্তা দেননি। কিন্তু কয়েকদিন আগেই রূপা তার এক সঙ্গীকে নিয়ে যুবকের বাড়িতে গিয়ে হাজির হয়। দু’জন মিলে যুবককে হুমকি দিতে শুরু করে। ৫ লক্ষ টাকা তোলা চায় তারা। যুবক ওই টাকা দিতে অস্বীকার করেন। এরপরই শুরু হয় খুন ও মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ার হুমকি। ৭ দিনের মধ্যে ওই টাকা দিতে হবে বলে তারা শাসিয়ে যায়। অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। হাড়োয়া ও দমদমে তল্লাশি চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *